ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ড. কামাল, শামসুল হুদার চিঠি

প্রকাশিত: ০৭:৩২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ড. কামাল, শামসুল হুদার চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে ‘শুভ উদ্যোগ’ গ্রহণে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। একই সঙ্গে জাতীয় সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অনুরোধ করেছে সংগঠনটি। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে প্রস্তাবনার আলোকে শুভ উদ্যোগ কামনা করেছে নাগরিক সমাজ। সোমবার সন্ধ্যায় নাগরিক সমাজের পক্ষে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত তিনটি পৃথক চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বরাবর পাঠানো হয়। তিনটি চিঠিই সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। নাগরিক সমাজের প্রস্তাবনায় সংলাপের উদ্যোগ নিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে। আর সংলাপের বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলমান সহিংসতা অর্থনীতি ও জনজীবনকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর মূল কারণ হলো সরকার ও তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যকার রাজনৈতিক বিরোধ। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধ ও সঙ্কট নিরসনের শান্তিপূর্ণ রীতি হচ্ছে সংলাপ। এর কোন বিকল্প নেই। আর এই সংলাপ হতে হবে সব সক্রিয় রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিদের কার্যকর অংশগ্রহণের ভিত্তিতে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরাজমান সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে, যাতে নারী-শিশু, মাতাপিতা ও নির্দোষ মানুষ জ্বালাও-পোড়াওয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পরিবেশ পায় এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। বাণিজ্যের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়। কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে পাঠানো চিঠিতে প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, যারা সংবিধানের মূলনীতির প্রতি বিশ্বাসী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ তারা সবাই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনসহ অন্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে শক্তিশালী করা হলে তারা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে, তা বিবেচনার দাবি রাখে। প্রস্তাবনায় ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
×