ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার

তিন জামায়াত ও দুই শিবির নেতার শোকজের জবাব ১৬ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

তিন জামায়াত ও দুই শিবির নেতার শোকজের জবাব ১৬ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য ও হরতাল ডাকায় তিন জামায়াত নেতা ও দুই শিবির নেতার শোকজের জবাব দেয়ার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতারকৃত নেত্রকোনার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি (৬২) ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের (৬৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। অভিযোগ গঠনের ওপর আদেশ দেয়া হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। হবিগঞ্জের দুই সহোদর মাহিদুর রহমান ওরফে বড় মিয়া ও মজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুর মিয়ার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জের দুই সহোদর ক্যাপ্টেন নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও আইনজীবী শামসুদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য ৩০ মার্চ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে শামসুদ্দিনের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ প্রদান করা হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত বাগেরহাটের তিন রাজাকারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ২০ ও ২১তম সাক্ষী জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী এক সাক্ষীকে জেরা করেন। আজ পরবর্তী সাক্ষীকে জেরা করার জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। পটুয়াখালীর রাজাকার ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ সাক্ষী মোঃ হাবিবুর রহমান মৃধাকে জেরা করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এ আদেশগুলো প্রদান করেছেন। রায় নিয়ে মন্তব্য করা ও এর বিরুদ্ধে হরতাল ডাকায় শোকজ নোটিসের জবাব আবার পিছিয়েছে। আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দু’সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। আসামিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী মোঃ নজরুল ইসলামের ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা বলে সময়ের আবেদন জানান জুনিয়র আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম। প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। অভিযুক্ত জামায়াত-শিবির নেতারা হচ্ছেন, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুর রহমান এবং ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল জব্বার ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের একই রায় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননার অভিযোগের জবাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন জামায়াত নেতাদের আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। অন্যদিকে জামায়াত-শিবির নেতাদের শো’কজ নোটিসের জবাব দেয়ার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। পরে তাদের আবেদনে ব্যাখ্যার সময় আবার পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। ননী-তাহের ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত নেত্রকোনার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি (৬২) ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের (৬৪) বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। অভিযোগ গঠন করা হবে কী হবে না সে বিষয়ে আদেশ প্রদান করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। মাহিদুর-মজিবুর ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের দুই সহোদর রাজাকার মাহিদুর রহমান ওরফে বড়মিয়া ও মুজিবুর রহমান ওরফে আঙ্গুরকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের গ্রেফতারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনপক্ষের শুনানি শেষে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি মোঃ মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলাম। প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মুহাম্মদ সিমন ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা বেগম চমন।
×