ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সামনে এবার আয়ারল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সামনে এবার আয়ারল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে খেলা হলো। পাকিস্তানের বিপক্ষেও খেলল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবার সামনে আয়ারল্যান্ড। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে সিডনিতে বৃহস্পতিবার আইরিশদের বিপক্ষে লড়াই করবে বাংলাদেশ দল। এ প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ হতেই বাংলাদেশকে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে নামতে হবে। মূল পর্বে নামার আগে কী অন্তত জয় সঙ্গী করতে পারবে বাংলাদেশ? অস্ট্রেলিয়া একাদশের কাছে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই হার হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কাই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষেও হার হয়েছে। তবে এ হারে লড়াকু ভাব ছিল। যে ভাব বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কা দূর করে দিচ্ছে। সামনে আরেকটি ম্যাচ। যে ম্যাচে জিতলে বাংলাদেশকে নিয়ে বড় আশা দেখা হবে। আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হারলেই আবারও অন্ধকার নেমে আসবে। তখন আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ডের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষেও বাংলাদেশ হারতে পারে, সেই আশঙ্কাই তৈরি হয়ে যাবে। অবশ্য বাংলাদেশ দল এখন অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ওপেনার তামিম ইকবাল যে ইনজুরি থেকে মুক্ত হয়ে ব্যাটের লড়াইয়ে ফিরে গেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮১ রান করে তামিম অনেক আশাও জাগাচ্ছেন। শুরুতেই যদি দল ভাল রান পায়, সেদিনটি বাংলাদেশের ভালই যায়। তামিমের ওপর দারুণ ভরসা দলের। সেই তামিমকে নিয়ে যে না খেলার শঙ্কা ছিল, সেটি দূর হয়ে গেল। তামিমও তাই দারুণ খুশি। খেলার বাইরে ছিলেন প্রায় দুই মাস। হাঁটুর অস্ত্রোপচার করার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলেছে। সেই সঙ্গে অনুশীলনেও ফিরতে হয়েছে। ধীরে ধীরে তামিম মাঠে ফেরার চ্যালেঞ্জ জিতে নিয়েছেন। ব্যাট হাতে নেমেই ১০৯ বলে ৫ চারে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। তবে ১৯ রান করতে না পারার আক্ষেপ থাকছেই। তামিমও বললেন, ‘যে কোন ম্যাচেই এক শ’ রান করতে পারলে অন্য রকম আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়, অনুভূতিটাও অন্য রকম হয়। তবে আমি খুব খুশি যে, ফিরে এসেই ভাল শুরু করতে পেরেছি। যে আত্মবিশ্বাসটা হারিয়ে গিয়েছিল সেটা একটু হলেও ফিরে পেয়েছি।’ অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে হারের পর দল নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪৬ রান করার পর যে লড়াকুভাবে খেলে ৩ উইকেটের হার হয়েছে, সেটিতে আবার ক্রিকেটাররাও পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন। তামিম তাই দলের পারফর্মেন্সেও খুশি, ‘ফলাফল আমাদের পক্ষে না এলেও এই ম্যাচ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক দিক খুঁজে নিতে পারি। পাকিস্তানের মতো দলের বিপক্ষেও একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল আমরা জিতে যাব। সবার আত্মবিশ্বাস এতে বাড়বে। বড় দলের বিপক্ষে এভাবে লড়াই করতে পারলে ফল সব সময় ওদের পক্ষে যাবে না, আমাদের দিকেও আসতে পারে। আমাদের জন্য খুবই ভাল একটা ম্যাচ হয়েছে।’ অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে দল ভাল করতে না পারার শঙ্কা শুরু থেকেই ছিল। এরপর আবার ব্রিসবেনে ভরাডুবি হওয়ায় ভয়ও ঢুকে গিয়েছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে সেই ভয় কেটে গেছে। বড় দলের বিপক্ষেও যে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনেও ভাল করতে পারে, সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তামিমই যেমন বললেন, ‘বিদেশের মাটিতে এসেও যদি আমরা আমাদের কাজগুলো ঠিকভাবে করি তাহলে ম্যাচ জেতা সম্ভব, সেটা পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচই প্রমাণ করে।’ আর মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। সবার দৃষ্টি সেই ম্যাচের দিকে। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। এ ম্যাচে বাংলাদেশ ভাল ফল বের করে নিতে পারলে দলকে নিয়ে আশাও জাগবে। তামিমেরও এ ম্যাচেই দৃষ্টি আছে, ‘আমাদের আরেকটা প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। সেটা জিততে পারলে সবার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। ১৮ তারিখের জন্য প্রস্তুতিটা তখন ভাল থাকবে।’ পাকিস্তানের বিপক্ষেও জয়ের আশা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তামিম। বলেছেন, ‘এক পর্যাযে আমরা পরপর তিনটি উইকেট হারিয়ে ফেলি। রিয়াদ ভাই রানআউট হলো। আমি আউট হলাম। তারপর মুশফিকও আউট হলো। ২-৩ ওভারের মধ্যেই এটা হয়েছে। এর বাইরে বোলিংয়ে শেষের দিকে আমরা হয়ত বাউন্ডারির বল বেশি দিয়ে ফেলেছি।’
×