ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রস্তুতি ম্যাচ সিডনিতে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড প্রস্তুতি ম্যাচ সিডনিতে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক একটি করে দিন যাচ্ছে। প্রস্তুত হচ্ছে মাশরাফিবাহিনী। খেলছে একের পর এক প্রস্তুতি ম্যাচ। আজ তেমনই বিশ্বকাপের আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে বাংলাদেশের সামনে। প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। ভোর পাঁচটায় সিডনির ব্ল্যাকটাউন অলিম্পিক পার্ক ওভালে ম্যাচটি শুরু হবে। এ ম্যাচটি বাংলাদেশ দলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ শুরু হবে শনিবার। আর দুই দিন বাকি। তবে ১৮ ফেব্রুয়ারি হবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। যে ম্যাচটিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দলটি হচ্ছে আফগানিস্তান। এ ম্যাচটিতে নামার আগে বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আইরিশদের হারাতে পারলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে নামতে পারবে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকরা। আর হারলে আত্মবিশ্বাসে ধরবে চিড়। আত্মবিশ্বাসে অবশ্য চিড় ধরেই গিয়েছিল। যখন ব্রিসবেনে দুই সপ্তাহের প্রস্তুতি ক্যাম্পে বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু হারই যুক্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া একাদশের বিপক্ষে পরপর দুটি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ! এ হারের পর দলকে নিয়ে যে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার আশা করা হয়েছিল, তাতেও হতাশা যুক্ত হয়েছে। কিন্তু দল যখন পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ভাল খেলেছে, তখন আবার দলকে নিয়ে আশাবাদি হওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এই আশা না আবার হতাশায় পরিণত হয়ে যায় আজ, সেই ভয়ও আছে। বাংলাদেশের জন্য যেমন শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ, ঠিক তেমনি আয়ারল্যান্ডের জন্যও বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে নামার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। তাই ‘মরণ কামড়’ দেয়ার চেষ্টা স্বাভাবিকভাবেই থাকবে আইরিশদের। কিন্তু দলটিকে নিয়ে আবার ভয় পাওয়ারও কিছু থাকছে না। আয়ারল্যান্ড যে প্রস্তুতি ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে হেরেছে। স্কটিশদের বিপক্ষে ১১৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে আইরিশরা। অথচ বিশ্বকাপে এ দলটিকে নিয়ে অনেক আশা দেখা হয়েছে। বিশ্বকাপের মূল পর্বে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা পড়বে না। আয়ারল্যান্ড আছে গ্রুপ ‘বি’তে। বাংলাদেশ আছে গ্রুপ ‘এ’তে। আইরিশদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে খেলতে না হলেও আফগানিস্তান, দুই স্বাগতিক দল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে। এর আগে তাই শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে জয়টি অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশ জিতলে মনোবল চাঙ্গা রেখেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলতে পারবে। যে আফগানিস্তান প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলছে। বাংলাদেশকে হারানোর হুমকিও দিচ্ছে আফগানরা। এশিয়া কাপে জেতায় এখন বিশ্বকাপে জেতারও আশা করছে। সেই আফগানদের হারাতে হলে আজকের আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জিতে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি বাড়িয়ে নিতে হবে। অবশ্য ম্যাচটিতে বাংলাদেশ দলের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচেই বোঝা গেছে আইরিশরা খুব বেশি শক্তিশালী নয়। বাংলাদেশ সেই তুলনায় অনেক শক্তিশালী। দলটিতে আছেন বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। যিনি একাই ম্যাচের ফল নিজেদের দিকে নিয়ে আসতে সক্ষম। আবার ওপেনার তামিম ইকবালও ইনজুরি থেকে মুক্ত হয়ে এরই মধ্যে ফিরেছেন। ব্যাট হাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসও খেলেছেন। দলে আছেন মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুমিনুল হক ও নাসির হোসেনের মতো ব্যাটসম্যান। আর পেস আক্রমণে মাশরাফি, রুবেল, তাসকিনরা তো আছেনই। বাংলাদেশেরই জয়ের সম্ভাবনা বেশি। তবে শঙ্কাও থাকছে। আয়ারল্যান্ড যে সবসময়ই বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। বিশ্বকাপের আসর হলে কথাই নেই। আইরিশদের নাকে যেন আগেই জয়ের গন্ধ লেগে যায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটাররাও যেন দুর্বার হয়ে ওঠেন। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে যেমন ২০০৯ সালের টি২০ বিশ্বকাপেও তেমন। এমনিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১১ ম্যাচের মধ্যে ৮ ম্যাচ জিতলেও ২০০৭ ও ২০০৯ সালের বিশ্বকাপে ঠিকই হেরেছে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচও হেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আসর মানেই যেন বাংলাদেশের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডে জয়ই লেখা হয়। এবার দেখা যাবে বাংলাদেশ এর পরিবর্তন ঘটিয়ে দিতে পারে কিনা। সেই পরিবর্তনের দিন আজই। বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল অবশ্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছেন। বলেছেনও, ‘আমাদের আরেকটা প্রস্তুতি ম্যাচ (আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) আছে। সেটা জিততে পারলে সবার আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। ১৮ তারিখের জন্য প্রস্তুতিটা তখন ভাল থাকবে।’
×