ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জিম্বাবুইয়ের চমক, কিউইদের কাছে হার দক্ষিণ আফ্রিকার

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জিম্বাবুইয়ের চমক, কিউইদের কাছে হার দক্ষিণ আফ্রিকার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে মূল লড়াইয়ের আগে চমক দেখাল জিম্বাবুইয়ে। প্রস্তুতি ম্যাচে কাল পরাশক্তি শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল ‘আফ্রিকান লিলিপুটরা!’ স্টাকলিফ ওভালে ৮ উইকেটে ২৭৯ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। জবাবে অভিজ্ঞ হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ড্যাশিং সেঞ্চুরির (১১৯ বলে ১১৭*) সৌজন্যে ৪৫.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এলটন চিগম্বুরার জিম্বাবুইয়ে। বুধবার প্রস্তুতি ম্যাচ হয়েছে আরও তিনটি। সহ-আয়োজক নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৩৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রত্যাশিতভাবে আরব আমিরাতকে ১৮৮ রানে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশের পর ইংল্যান্ডকেও ধরাশায়ী করে (৪ উইকেটে) দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে মিসবাহ-উল হকের পাকিস্তান। আইসিসির ওয়েবসাইটে দেয়া সাক্ষাতকারে সাবেক ভারতীয় পেসার জাভাগাল শ্রীনাথ বলেছেন, বিশ্বকাপে ছোট দল-বড় দল বলে কিছু নেই। প্রস্তুতি ম্যাচেই তা ফলে গেল! ‘হট-ফেবারিট’ দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধাক্কা দিল কিউইরা। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে এ পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত ঘটনার জন্ম দিল জিম্বাবুইয়েই। টি২০’র চ্যাম্পিয়নদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে ‘জায়ান্ট কিলার’ জিম্বাবুইয়ে। টস জিতে ব্যাটিং নেয়া লঙ্কানরা ২৭৯ রানের ফাইটিং স্কোর গড়ে মূলত দিমুথ করুনারতেœ (৫৮) ও জীবন মেন্ডিসের (৫১) হাফ সেঞ্চুরি কল্যাণে। জিম্বাবুইয়ের হয়ে ৩ উইকেট নেন শন উইলিয়ামস। জবাবে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অভিজ্ঞ মাসাকাদজা। ১১৯ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৭ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন তিনি। সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর খেলেন ৬৩ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। ৪ ওভার ৪ বল হাতে রেখেই দারুণ এক জয় তুলে নেয় জিম্বাবুইয়ে। ক্রাইস্টচার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের চমৎকার জয়ের নায়ক ট্রেন্ট বোল্ট। প্রথমে কেন উইলিয়ামসনের ৬৬, অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের ৫৯, রস টেইলরের ৪১ রানের ছোট কয়েকটি কার্যকর ইনিংসের ওপর ভর করে ৩৩১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে কিউইরা। জবাবে বোল্ট-তোপে (৫/৫১) ৪৪.২ ওভারে ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় দুর্ধর্ষ প্রোটিয়ারা। জেপি ডুমিনি (৮০), ভারনন ফিল্যান্ডার (৫৭) ছাড়া আর কেউই সুবিধা করতে পারেননি। আর মেলবোর্নে আরব আমিরাতের বিপক্ষে অসিদের জয় প্রত্যাশিত। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইনজুরি কাটিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফিরেই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক (৬১ বলে ৬৪)। এ্যারন ফিঞ্চ (৬১) ও স্টিাভেন স্মিথের (৫৯) আরও দুই হাফ সেঞ্চুরিতে ৩০৪ রানে বড় স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৩০.১ ওভারে ১১৬ রানে অলআউট হয় আমিরাত। সর্বোচ্চ ৩১ রান স্বপ্নীল পাতিলের। অসিদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন জোস হ্যাজলউড, প্যাট কুমিন্স ও জাভিয়ের ডোহার্টি। সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে উজ্জীবিত হওয়ার মতো সাফল্যই (৪ উইকেটের জয়) পেয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে চিরশত্রু ভারতকে মোকাবেলার রসদটা যোগার করে নিয়েছে মিসবাহ-উল হকের দল। জো রুটের ৮৫ ও গ্যারি ব্যালান্সের ৫৭ রানের সৌজন্যে ৮ উইকেটে ২৫০ রান সংগ্রহ করে ইংলিশরা। জবাবে ব্যাট হাতে পাকিদের জয়ের রূপকার অধিনায়ক মিসবাহ (৯৯ বলে ৯১*) ও উমর আকমল (৬৬ বলে ৬৫)। ৪৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিরা। স্কোর ॥ শ্রীলঙ্কা ২৭৯/৮ (৫০ ওভার; করুনারতেœ ৫৮, জীবন ৫১, মাহেলা ৩০, থিরিমান্নে ৩০, সেনানায়েকে ২৫*, পেরেরা ১৭; শন ৩/৩৫, মুপারিওয়া ১/২৫), জিম্বাবুইয়ে ২৮১/৩ (৪৫.২ ওভার; মাসাকাদজা ১১৭*, টেইলর ৬৩, শন ৫১*, চিবাবা ২২; মালিঙ্গা ০/৪৬, কুলাসেকারা ১/২৩, লাকমল ১/৫৬) ফল ॥ জিম্বাবুইয়ে ৭ উইকেটে জয়ী। নিউজিল্যান্ড ৩৩১/৮ (৫০ ওভার; উইলিয়ামসন ৬৬, ম্যাককুলাম ৫৯, টেইলর ৪১, নাথান ম্যাককুলাম ৩৩*, ভেট্টোরি ২৭, গাপটিল ২৬; এ্যাবট ২/৩৫, পারনেল ২/৫২, ফিল্যান্ডার ২/৫৯), দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৭/১০ (৪৪.২ ওভার; ডুমিনি ৮০, ফিল্যান্ডার ৫৭, ডি ভিরিয়ার্স ২৪; বোল্ট ৫/৫১, ম্যাকক্লেনঘান ২/২৩, ভেট্টোরি ২/২৯) ফল ॥ নিউজিল্যান্ড ১৩৪ রানে জয়ী। অস্ট্রেলিয়া ৩০৪/৮ (৫০ ওভার; ক্লার্ক ৬৪, ফিঞ্চ ৬১, স্মিথ ৫৯, বেইলি ৪৬, ওয়াটসন ৩৪; কৃষ্ণান ৩/৫০, নাসির ৩/৫৬), আমিরাত ১১৬/১০ (৩০.১ ওভার; পাতিল ৩১, আমজাদ ৩১; হ্যাজলউড ২/১২, ডোহার্টি ২/৩) ফল ॥ অস্ট্রেলিয়া ১৮৮ রানে জয়ী। ইংল্যান্ড ২৫০/৮ (৫০ ওভার; রুট ৮৫, ব্যালান্স ৫৭, জর্ডান ৩১*, হেলেস ৩১; ইয়াসির ৩/৪৫, সোহেল ২/৪৭, আদিল ১/২৭, আফ্রিদি ১/৫৯, ওয়াহাব ১/৪৬), পাকিস্তান ২৫২/৬ (৪৮.৫ ওভার; মিসবাহ ৯১*, উমর আকমল ৬৫, হারিস ৩৩, মাকসুদ ২০, আফ্রিদি ৮*; এ্যান্ডারসন ২/৪২, ব্রড ২/৫১) ফল ॥ পাকিস্তান ৪ উইকেটে জয়ী।
×