স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ রাজনৈতিক কর্মসূচীর আবরণে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকা- চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। রাতের অন্ধকারে পেট্রোলবোমা মেরে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। ভোটের অধিকারের নামে মানুষের জীবন বিপন্ন করা হচ্ছে। সচেতন নাগরিক হিসাবে, পেশাজীবী হিসাবে আমরা তা মেনে নিতে পারি না। আমরা রাজনীতির বিরুদ্ধে নই, কিন্তু রাজনীতির আবরণে সন্ত্রাসী, দুর্বৃত্তদের মাঠে নামিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবন বিপন্ন করা, মানুষ হত্যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা করছে দায় দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। কুৎসিত এই রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত সহিংসতা, সন্ত্রাস ও নৃসংশতার বিরুদ্ধে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সিইউজে সভাপতি এজাজ ইউসুফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, বোমাবাজি-সন্ত্রাস, পেট্রোলবোমা মেরে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায় বিরোধী রাজনৈতিক জোট। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করা। তারা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
হাসান ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহসভাপতি আবু তাহের মুহাম্মদ, যুগ্মমহাসচিব আসিফ সিরাজ, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ, টিভি জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। এ সময় সিইউজের কর্মসূচীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য সাবিহা মুসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)র চেয়ারম্যান আবদুস ছালাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এ্যাডভোকেট আবু হানিফ, জেলা আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য সচিব ডাঃ চন্দন দাশ, যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, ‘৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শওকত বাঙ্গালী, পেশাজীবী লীগের মনিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা গিয়াস উদ্দিন হিরু, ছাত্রলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সাবেক সভাপতি অঞ্জন কুমার সেন, নির্মল চন্দ্র দাস, যুগ্ম সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শুভ, ফটো জর্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ প্রমুখ।
