ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশের দাবা উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস রাজেশ জোশির

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশের দাবা উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস রাজেশ জোশির

রুমেল খান ॥ বিশ্ব দাবা ফেডারেশনের (ফিদে) দক্ষিণ এশিয়ার (জোন ৩.২) প্রেসিডেন্ট রাজেশ হরি জোশি এখন বাংলাদেশে। এই প্রথম বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের বাইরে কোন বড় ধরনের প্রতিযোগিতায় বিশ্ব দাবার কোন কর্মকর্তা বাংলাদেশে সফর করে কোন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছেন। উল্লেখ্য, নেপালের রাজেশ নেপাল দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ছাড়াও বিশ্ব দাবার কার্যকরী কমিটিরও সদস্য। গোল্ডেন স্পোটিং ক্লাবের আয়োজনে বিশেষ আমন্ত্রণে শেখ মনি আন্তর্জাতিক দাবা টুর্নামেন্টে রাজেশ গত শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় আসেন। তার আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন আজ রবিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক এ্যাসোসিয়েশনের অডিটরিয়ামে তাকে বিশেষ সংবর্ধনা দেবে। একই অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত করা হবে সদ্য নির্বাচিত কমনওয়েলথ চেস এ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী সাইফুল তারেককেও। ‘শহীদ শেখ মনি স্মৃতি আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজেশ তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই অঞ্চলের দাবার অনেক সমস্যা। এটা কাটিয়ে উঠতে হলে স্ব স্ব সরকারকেই এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি প্রতিবেশী ভারতের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে রয়েছে ৪৫ গ্র্যান্ডমাস্টার। এক সময়কার বিশ্বসেরা বিশ্বনাথন আনন্দও রয়েছেন। তাদের প্রাদেশিক সরকার ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে। রাজেশ বলেন, ‘ভারতের মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু সরকার দাবায় ব্যাপক সহায়তা করছে। তাদের কাছে দাবা যেন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পরেই স্থান পায়। বাংলাদেশের দাবার উন্নয়নকল্পে ফিদে সবসময় সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত। স্কুল পর্যায় থেকেই দাবা শুরু করতে হবে।’ একসময় এই উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদের কথা উল্লেখ করে রাজেশ বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই দাবায় ভাল ছিল। কিন্তু নানা কারণে পিছিয়ে পড়েছে। বর্তমানে তাদের আছে মাত্র পঞ্চম গ্র্যান্ডমাস্টার। পাইপলাইনে আন্তর্জাতিক দাবাড়ু সৃষ্টি করতে হবে। অথচ বাংলাদেশে এখন আছে মাত্র দুই আন্তর্জাতিক মাস্টার। বেশি করে ভালমানের দাবা টুর্নামেন্টের আয়োজনের বিকল্প নেই। ফিদে এই জোনের প্রতিটি ফেডারেশনকে বেশ ভাল অঙ্কের অর্থ সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি সরকারকে এগিয়ে আসলে এদেশের দাবা আবারও বিশ্ব মানে পৌঁছবে।‘ তিনি আশা করেন, শেখ মনি দাবা প্রতিযোগিতাসহ আরও ভাল মানের দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হলে ফিদে এখানে নানা ধরনের ইকুইপমেন্ট দিয়ে সহায়তা করতে রাজি আছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও পাকিস্তান নিয়ে এশিয়ান জোনাল ৩.২ গঠিত। দাবা একটি জনপ্রিয় খেলা, যা বোর্ডের ওপর খেলা হয়। যিনি দাবা খেলেন তিনি দাবাড়ু হিসেবে আখ্যায়িত হন। এ খেলায় জিততে হলে বোর্ডের ওপর ঘুঁটি সরিয়ে বা চাল দিয়ে বিপক্ষের রাজাকে ফাঁদে ফেলে ‘খেতে’ বা নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। দাবার পরিভাষায় একে বলে ‘কিস্তিমাত।’ যুদ্ধংদেহী বোর্ড ক্রীড়া হিসেবে দাবা খেলার সুনাম রয়েছে। খেলার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ প্রতিপক্ষের ঘুঁটি আয়ত্তে আনার মাধ্যমে নতস্বীকারে বাধ্য করা।
×