ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লালমনিরহাটে প্রলোভন দিয়ে তামাক চাষ ॥ হুমকিতে খাদ্য উৎপাদন

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

লালমনিরহাটে প্রলোভন দিয়ে তামাক চাষ ॥ হুমকিতে  খাদ্য উৎপাদন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৫ ফেব্রুয়ারি ॥ লালমনিরহাটে ট্যোবাক কোম্পানিগুলো প্রলোভন দেখিয়ে কৃষককে দিয়ে তামাক চাষ বৃদ্ধি করছে। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে এই তামাক চাষে সরকারী ভতুর্কির সার ব্যবহার করছে। এভাবে তামাক চাষ বৃদ্ধি পেতে থাকলে উত্তরাঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে নারী, কিশোরী ও শিশুরা। তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে শিশু শ্রম বেড়ে গেছে। ফলে মুখথুবড়ে পড়েছে সরকারের নেয়া সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুর্র্যোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির কারণে এক সময় উত্তরাঞ্চলের মানুষের মাঝে দারিদ্র্যতা জেঁকে বসেছিল। কৃষক পণ্য উৎপাদন করে, শুধু বিপণনের কারণে দাম পায়নি। এই সুযোগে ট্যোবাকো কোম্পানিগুলো উত্তরাঞ্চলে তামাক চাষ ও প্রক্রিয়াজাত শুরু করে। স্বল্পমূল্যে শ্রমিক ও স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে তামাক চাষে কৃষকে উদ্বুদ্ধ করে। সে সময় কৃষকের হাতের নাগালে বিকল্প কোন কৃষি কাজ ও ফলস চাষের পন্থা ছিল না। তাই একরকম বাধ্য হয়ে তামাক চাষ করেছে। এখন তামাক চাষ না করেও অর্থকারী ফসল চাষে কৃষকের হাতে নানা উপায় চালু আছে। ইতোমধ্যে কৃষক ফলজ বাগান ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সবজি চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছে। এতে করে তামাক চাষে কিছুটা হলেও ভাটা পড়ার কথা কিন্তু ভাটা পড়েনি। লালমনিরহাট জেলার সিভিল সার্জন মোস্তাফা কামাল জানান, ট্যোবাকো কোম্পানিগুলোর প্রভাবে জেলায় তামাক ও তামাকজাত কোম্পানির পণ্য গুল, জর্দা, সিগারেট, খইনির নেশায় আসক্তদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। উন্নত বিশ্বে তামাক চাষ প্রায় নিষিদ্ধ ও নিয়ন্ত্রণ করেছে। তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে সতর্ক ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। সেখানে আমাদের দেশে ট্যোবাকো কোম্পানিগুলো উৎসাহিত করছে তামাক চাষে ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে। এতে নানা রোগ বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে।
×