ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ আন্দোলন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ॥ আমু

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

এ আন্দোলন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ॥ আমু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের হরতাল-অবরোধের নামে চলমান জঙ্গী তৎপরতা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। হরতাল অবরোধের কথা মুখে শুনছি। সারাদেশের অবস্থা স্বাভাবিক। তবে দু’-একটি জায়গায় নাশকতা চলছে। সচিবালয়ে মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত্র মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এ কথা বলেন । বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আমু বলেন, আমি মনে করি না এ আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে। এ আন্দোলন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। যারা রাষ্ট্রকে চায়না, বিশ্বাস করে না। তারা এ আন্দোলন করছে। দেশে চলমান জঙ্গী তৎপরতা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বৈঠকে আমরা সন্তাষ প্রকাশ করেছি। হরতাল-অবরোধ নাশকতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে পাল্টা প্রশ্ন রেখে শিল্পমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের ৪ বছরের কার্ফুকে যদি বলা হয় স্বাভাবিক, এখন যদি রাত ৯টার পর গাড়ি বন্ধ থাকে তাহলে স্বাভাবিক নয় কেন? হরতাল অবরোধে জঙ্গী তৎপরতার বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, একটা মহল এটিকে জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু জিইয়ে রাখা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়, তা দেশের সব নাগরিকের বোঝা উচিত। এদেশ সবার, কোন ব্যক্তি বা দলের নয়। আমির হোসেন আমু বলেন, যখন দেশের প্রতিটি সূচক যখন অগ্রসরমান, প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছেন তখন জঙ্গী তৎপরতা চালিয়ে দেশকে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। বৈঠকের পর আমির হোসেন আমু বলেন, চলমান নাশকতায় রোহিঙ্গাদের যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রাখছে। বৈঠকে জঙ্গী অর্থায়নের উৎস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তে ৩৮টি ইয়াবা পয়েন্ট চিহ্নিত করে তা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে সীমান্ত রক্ষীবাহিনী-বিজিবিকে। এ ছাড়া ভারত সীমান্তে চিহ্নিত ফেনসিডিল কারখানাগুলোও বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। তিনি বলেন, ইয়াবা পাচারের এসব রুট বন্ধের বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে মায়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এসব রুট বন্ধ করে দেবে বলে তারা বিজিবিকে আশ্বস্ত করেছে। ঠিক একইভাবে ফেনসিডিলের বিষয়ে ভারত সরকারকে বলা হয়েছে। তারাও যেন সীমান্তে ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করে দেয়। এরই মধ্যে তারা এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছে। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশরাফ হোসেন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মজিবুল হক চুন্নু এবং আইনশৃঙ্খলা বহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা।
×