ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পার্বতীপুরে রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের মহোৎসব

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

পার্বতীপুরে রেলওয়ের সম্পত্তি দখলের মহোৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি ॥ পার্বতীপুরে রেলওয়ের সম্পত্তি দখল থামছে না। ইতোমধ্যেই শহীদ মাঠ সংলগ্ন সাহেবপাড়া টি-২২৭ নম্বর বাংলোসহ পার্শ্ববর্তী জায়গা দখল করে মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়েছে। তার দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় ১ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এল-১১৬ নম্বর বাংলোটি দুই স্কুল শিক্ষকের দখলে। ইলেকট্রিক ফোরম্যান (ব্রডগেজ) মোঃ শরিফুল ইসলামের বসবাসরত এল-১৭৩ নম্বর বাসার চার পাশের ফাঁকা জায়গায় কমপক্ষে ৫০ ঘর উদ্বাস্তু ঝুপড়ি নির্মাণ করায় স্থানটি মিনি বস্তিতে পরিণত হয়েছে। বাসাটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রেল পার্কের পশ্চিম পাশে জিআরপি টাউন ফাঁড়ি সংলগ্ন প্রায় ৬ একর জায়গায় দোকানপাটে ভরে গেছে। হলদিবাড়ী রেল কলোনি, সাহেবপাড়া, বাবুপাড়া, পাওয়ার হাউস কলোনি ইত্যাদি রেলের কলোনিগুলোর অধিকাংশ বাসাবাড়ি ভাঙ্গাচোরা, পরিত্যক্ত। রেল কর্মচারীও এসব বাসায় বসবাস করে না। এগুলো ভরপুর বহিরাগত লোকজনে। রেলের বাসাবাড়িসহ ফাঁকা জায়গা পজেশন বিক্রির ধূম পড়েছে। আদর্শ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন স্থানে ও গুলপাড়ায় রেলের বিশাল জায়গায় দুটি মহল্লা গড়ে উঠেছে। তবে একশ্রেণীর অসাধু লোক জাল দলিল তৈরি করে গুলপাড়ার জায়গা জোতের সম্পত্তি বলে প্রচার করছে। রেল স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও ভূমি দফতরের কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, বাধা দিলে দখলকারীরা সরকারী দলের পরিচয়ে তাদের ধমকায় ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তারপরও চাকরি রক্ষার খাতিরে থানায় শত শত এজাহার দিয়েও দখল ঠেকানো যায়নি। এ পর্যায়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য যতবারই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, তা স্থানীয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে ভ-ুল হয়েছে। পার্বতীপুর ভূমি অফিসের সূত্রমতে, চিলাহাটি থেকে আক্কেলপুর পর্যন্ত রেলের মোট জমির পরিমাণ ২ হাজার ৬শ’ ৮৫ একর। তার মধ্যে রেলের প্রয়োজনীয় অপারেশন ল্যান্ড ৯৭৯ একর বাদে বাণিজ্যিক ৩২ একর কৃর্ষি ৩১৪ একর,মৎস্য ৭০ একর, নার্সারি ৪ একর। এসব জমি অধিকাংশই অবৈধ দখলে। তার মধ্যে ২শ’ দোকানপাট, বাড়িঘরের লাইসেন্স থাকলেও মামলা মোকদ্দমা ও লাইসেন্স রেট বৃদ্ধির অজুহাতে লোকজন খাজনা পরিশোধ করে না।
×