ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্কুলগেটে রাজাকারের নাম ॥ এলাকায় তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

স্কুলগেটে রাজাকারের নাম ॥ এলাকায় তোলপাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৯ ফেব্রুয়ারি ॥ জেলা সদরের মহেন্দ্রনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল প্রবেশ পথের গেটের নাম ফলকে কুখ্যাত রাজাকারের নাম লেখা রয়েছে। ফটক থেকে নাম ফলকটি অপসারণের দাবিতে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির ৬ সদস্য জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেছে। এই কুখ্যাত রাজাকারকে প্রতিষ্ঠা করার ঘটনায় জেলায় তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। জেলা সদরের মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জলিল বসুনিয়া একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইউনিয়নটির চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি পিস কমিটির সভাপতি হন। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও এই কুখ্যাত রাজাকারের নির্মমতার ঘটনা মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীর মুখে মুখে ফিরছে। ৭১-এর ১৯ নবেম্বর বড়বাড়ি ও মহেন্দ্রনগরে তাঁর নেতৃত্বে গণহত্যা সংঘটিত হয়। এই কুখ্যাত রাজাকার সেই দিন পাকিস্তানী সেনাদের সহযোগিতা করেছিল। পাকিস্তানীরা তাঁর সহায়তায় নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে এখনও কয়েকটি গণকবর করেছে। কবরগুলো নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। লালমনিরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক জানায়, ইউনিয়ন ও পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে রাজাকারের নামের তালিকা যাচাই-বাছাই করে ২০১০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত রাজাকারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সেই তালিকায় ১৬ নম্বরে কুখ্যাত রাজাকার হিসেবে জলিল বসুনিয়ার নাম রয়েছে। তিনি জানান, বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার ক্ষমতায়। রাজাকারদের বিচার হচ্ছে। সারাদেশে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের নামে কোন প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাটের নাম থাকতে পারবে না। এই অবস্থায় কিভাবে স্কুলের গেটে রাজাকারের নামফলক লিখে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
×