ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

গোপালগঞ্জে নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবার নিরাপত্তাহীনতায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২০ ফেব্রুয়ারি ॥ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তাড়াইল গ্রামে একটি সংখ্যালঘু পরিবার চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ক্রমাগত নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বেধড়ক মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তারা আহত হয়েছেন। সপ্তাহখানেক ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মহিলাসহ পরিবারটির ৬ সদস্য। অসহায়ত্ব এখন তাদেরকে ঘিরে রেখেছে। নানা হুমকিধমকি খেয়ে তারা দিশেহারা। ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়। এ ঘটনার শিকার কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহত নগরবাসী মণ্ডল (৬৫) জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, তাদেরই প্রতিবেশী সোনাখালী গ্রামের আবুল কালাম আজাদ ফকির কিছুদিন এলাকার বাইরে ছিলেন। বছরদুয়েক আগে এলাকায় এসে তাদের উওপর নানাভাবে ভয়ভীতি ও নির্যাতন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আবুল কালাম আজাদ ফকির নিজের লোকজন নিয়ে তাদের একটি ডোবা-পুকুরের সব মাছ জোর করে ধরে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আবুল কালাম ও তার বংশীয় ২০-২৫ জন বিভিন্ন বয়সের লোক ম-লবাড়িতে হামলা চালায় ও ঘর-দরজা ভাংচুর শুরু করে। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে তাদের বেধড়ক মারপিটের শিকার হন বাড়ির অনেকেই। এরমধ্যে গুরুতর আহত হয়ে তিনিসহ তার ছেলে ভোলানাথ মন্ডল, ভাইয়ের স্ত্রী রাধিকা ম-ল, ভাইপোর স্ত্রী বিশোকা মন্ডল, ভাইপো কিরণ ম-ল ও বীরেন ম-ল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ম-ল আরও জানান, আবুল কালাম আজাদ ফকির জামায়াতের একজন সক্রিয় সদস্য। প্রতিনিয়ত তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকিধমকি দিচ্ছে। তাই তিনি ও তার পরিবারের সবাই এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাঙ্গাবালীতে ঘটনার ১০ দিন পর মামলা স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা থেকে জানান, শেষ পর্যন্ত পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কানকুনিপাড়া গ্রামের দাসেরকান্দার সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা নিয়েছে।
×