ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

হার-বার্সিলোনার আচমকা পতন!

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

হার-বার্সিলোনার আচমকা পতন!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উড়তে থাকা বার্সিলোনার আকাশ থেকে পতন হয়েছে। টানা ১১ ম্যাচ জয়ের পর হারের স্বাদ পেয়েছে কাতালানরা। শনিবার স্প্যানিশ লা লিগার ম্যাচে নিজেদের মাঠ ন্যুক্যাম্পে অতিথি মালাগার কাছে ১-০ গোলে হার মানে বার্সা। অতিথিদের হয়ে মেসি-নেইমাদের বধ করা করা গোলটি করেন জিমিনেজ লোপেজ। এই হারে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আগে চাপে পড়ল লুইস এনরিকের দল। তবে সহজ জয়ে শীর্ষে থাকা দুই পরাশক্তির সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়েছে এ্যালেটিকো মাদ্রিদ। আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা ৩-০ গোলে পরাজিত করে আলমেরিয়াকে। ২৪ ম্যাচ শেষে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে এ্যাটলেটিকো। আর দুর্বল মালাগার কাছে হেরে রিয়াল মাদ্রিদকে ছাড়িয়ে শীর্ষে ওঠার সুযোগ হারিয়েছে বার্সলোনা। রবিবার রাতের ম্যাচের আগ পর্যন্ত ২৩ খেলায় ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রিয়াল। এক ম্যাচ বেশি খেলা বার্সিলোনার পয়েন্ট ৫৬। লা লিগায় গত ৪ জানুয়ারি রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে হারের পর থেকেই ঘুরে দাঁড়ানো শুরু বার্সিলোনার। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ১১ ম্যাচ জিতে স্বর্ণালী সময় ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিল এনরিকের দল। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচের আগে আচমকাই ছন্দপতন হয়েছে দলটির। ফলে শিরোপা লড়াইয়েও কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়লেন মেসি-নেইমাররা। গত সেপ্টেম্বরে লীগের প্রথম পর্বে মালাগার মাঠ থেকে গোলশূন্য ড্র করেছিল বার্সা। এ কারণে পরশু রাতে প্রতিশোধের মিশন ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু প্রতিশোধ দূরে থাক, হারের জ্বালায়ই জ্বলতে হয়েছে ন্যুক্যাম্পের দলটিকে। ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামলেও শুরুতেই ধাক্কা খায় বার্সা। সপ্তম মিনিট দারুণ গোল করে মালাগাকে এগিয়ে নেন লোপেজ। ডি বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে গোলটি করেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। পিছিয়ে পড়ার পর একচেটিয়া খেলেও গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। ৩০ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল বার্সা। কিন্তু লিওনেল মেসির ফ্রিকিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় মালাগা। প্রথম গোলদাতা লোপেজের প্রচেষ্টা গোলরক্ষক ক্লাওডিও ব্রাভো রুখে দিয়ে রক্ষা করেন বার্সাক। বিরতির পর বেশিরভাগ সময় বল দখলে রেখে ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় থাকে বার্সিলোনা। কিন্তু মেসি-নেইমার-সুয়ারেজে গড়া বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ কিছুতেই গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত হারের বেদনা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বার্সাকে। এই ম্যাচে একপ্রকার নিষ্প্রভ ছিলেন আগের ম্যাচগুলোতে দারুণ খেলা মেসি। এরপরও ম্যাচ শেষে মেসিকে দোষারোপ করতে নারাজ কোচ লুইস এনরিকে। তিনি বলেন, কোন একজন খেলোয়াড়কে দোষারোপ করা ঠিক হবে না। বিশেষ করে হারের পর। মেসি আমাদের সবচেয়ে বড় তারকা। একটা দিন খারাপ হতেই পারে। হারের কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি। পরাজয়ের কারণ এটাই। আলমেরিয়াকে সহজেই হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে ভালভাবে টিকে আছে এ্যাটলেটিকো। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যানের জোড়া গোল ও মারিও মানদুকিচের লক্ষ্যভেদে চ্যাম্পিয়নরা ৩-০ গোলে হারায় আলমেরিয়াকে। নিজেদের মাঠ ভিসেন্টে ক্যালডেরনে প্রথম ত্রিশ মিনিটেই তিন গোল করে জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলে দিয়াগো সিমিওনের দল। ১২ মিনিটে আলমেরিয়ার আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মাউরো ডোস সান্টোস দিয়াগো গডিনকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় এ্যাটলেটিকো। পরের মিনিটে স্পট কিক থেকে গোল করেন মানদুকিচ। চলমান মৌসুমে মানদুকিচের এটা ২০ নম্বর গোল। ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্রিজম্যান। ডি বক্সের মধ্য থেকে বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়ান তিনি। ২৯তম মিনিটে দলের তিন ও নিজের দুই নম্বর গোল করেন ফরাসী এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের শেষ ক্ষণে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এ্যাটলেটিকোর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার গিলেরমো সিকুয়েইরা।
×