ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুই বছরেও শেষ হয়নি তালতলীর ৩ কিমি সড়ক নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

দুই বছরেও শেষ হয়নি তালতলীর ৩ কিমি সড়ক নির্মাণ

সংবাদদাতা, আমতলী, ২৩ ফেব্রুয়ারি ॥ বরগুনার তালতলী বাজার হতে নকরি খেয়াঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ দু’বছরেও শেষ হয়নি। সড়কে বেট কেটে নিম্নমানের ইটের সুরকি ফেলে রাখা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে হাজার হাজার জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালে আইআরডিপি প্রকল্পের অধীনে তালতলী-ছোটবগী রাস্তার তালতলী হতে নকরি খেয়াঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী বিভাগ দরপত্র আহ্বান করে। ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থ কার্পেটিং রাস্তার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এ কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহি এন্টারপ্রাইজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেয়ে ওই বছর এপ্রিল মাসে সড়কে বেট কেটে ইটের নিম্নমানের সুরকি ফেলে রেখে দেয়। এরপরে সড়কের আর কোন কাজ করেনি। অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করে শুধুই বছরের পর বছর কাজের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করছে। আর সংশ্লিষ্ট বিভাগ মেয়াদ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত বছর ৭ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করে। এ মেয়াদেও কাজ করেনি। একাধিক সূত্রে জানা গেছে ঠিকাদার পুনরায় গত বছর ডিসেম্বর মাসে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করে। নকরি গ্রামের গোলাম মোস্তফা জানান, ‘মোগো এই রাস্তা কবে ভাল অইবে জানি না’, ঠিকাদার রাস্তার কাজ হ্যালাইয়া থুইছে”। মাহি এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান জানান, অল্প দিনের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। তালতলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী এস এম তৈয়বুর রহমান জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনরায় সময় বৃদ্ধির জন্য গত বছর ৩০ ডিসেম্বর আবেদন করেছে। এখন পর্যন্ত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী তোফায়েল আহম্মেদ জানান, অর্থ সঙ্কটের কারণে কাজটি শেষ হচ্ছে না। কলাপাড়ায় বিরল প্রজাতির মাছ নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৩ ফেব্রুয়ারি ॥ কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে বিরল প্রজাতির বিশাল আকৃতির একটি মাছ ধরা পড়েছে। রবিবার গভীর রাতে মাছটি আলীপুর নাইউরীপাড়া ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকাল থেকে মাছটি দেখতে উৎসুক লোকজন ভিড় করে। মেসার্স বাচ্চু ফিশের মালিক আবুল হোসেন কাজীর ট্রলারে মাছটি ধরা পড়ে। তাদের দাবি, প্রায় ২০ মণ ওজন মাছটির। মাছটির শরীরে লম্বা দুটি পাখনার মতো রয়েছে। এছাড়া লেজ ও মাথার অংশ পর্যন্ত প্রায় ১২ ফুট লম্বা। দেখতে অনেকটা শাপলা পাতা মাছের মতো মনে হলেও স্থানীয় জেলেরা এটিকে বাদুর মাছ হিসেবে চেনেন। মাছটি চার হাজার টাকায় ব্রিক্রি হয়েছে।
×