ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঈশ্বরদী ইপিজেডে আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্থবির

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ঈশ্বরদী ইপিজেডে আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্থবির

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ চলমান হরতাল-অবরোধের প্রভাবে ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (আইইপিজেড) প্রায় সকল শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। লাগাতার হরতাল-অবরোধের ফলে ইপিজেডে অবস্থিত শতভাগ রফতানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে তাদের উৎপাদিত পণ্য রফতানি করতে গিয়ে ব্যাপক ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। ইপিজেড সূত্রে জানা যায়, ইপিজেডে অবস্থিত বেশিরভাগ শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, কর্মচারী এবং কর্মককর্তাদের প্রায় শতভাগ হাজিরা থাকলেও প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অভাবে একদিকে যেমন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদিত পণ্য রফতানি না হওয়ায় ধারাবাহিক লোকসানের মুখে পড়তে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। চলমান হরতাল-অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্গোভর্তি বিভিন্ন কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় মালামাল বন্দরে আটকা পড়ে আছে। অন্যদিকে ঈশ্বরদী ইপিজেডে থেকে বিভিন্ন দেশে রফতানির জন্য উৎপাদিত পণ্য কাভার্ডভ্যানভর্তি থাকলেও লাগাতার অবরোধের কারণে পণ্যগুলো পাঠাতে না পারায় প্রতিদিন প্রায় কোটি কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশে প্রতিদিন ঈশ্বরদী ইপিজেড থেকে উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট হয়ে থাকে। কিন্তু হরতাল-অবরোধের ফলে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, সরঞ্জাম আমদানি ও উৎপাদিত পণ্য রফতানি করতে না পারায় প্রতিনিয়ত সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ঈশ্বরদী ইপিজেডে শতভাগ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- নাকানো ইন্টারন্যাশনাল প্রাঃ লিঃ, রুলিন (বিডি) প্রাঃ লিঃ, রহিম আফরোজ গ্লোবেট লিঃ, ভিনটেজ ডেনিম স্টুডিও লিঃ, তোয়া কোম্পানি লিঃ, টিয়ানী আউটডোর প্রাঃ লিঃ, এমজিএল প্রাঃ লিঃসহ বিভিন্ন উৎপাদনরত ভারী শিল্প-প্রতিষ্ঠান। এভাবে হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে ইপিজেডের অভ্যন্তরীণ এসব শিল্প-প্রতিষ্ঠানের বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে। ইসলামী ব্যাংক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে অংশীদার বিশ্বজুড়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ভূমিকা এখন সর্বজন স্বীকৃত। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন, সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা, আন্তঃখাত সংযোগ স্থাপন, রফতানি বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তার কর্মদক্ষতা বাড়াতেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশেষত এসএমই খাতকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় নীতি-কৌশল প্রণয়ন করছে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এসএমই কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতেও এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের ক্রমবর্ধমান মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি, সামাজিক প্রয়োজন পূরণ এবং শিল্পের ফরওয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ উন্নত করার প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে এ খাত। এশিয়ান বিজনেস রিভিউয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশে উদ্যোক্তাদের ৮০ শতাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের। -বিজ্ঞপ্তি
×