ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসিসি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু, ১০ মার্চেরপর তফসিল

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ডিসিসি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু, ১০ মার্চেরপর তফসিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডিসিসি নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করলেও তফসিল ঘোষণার বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন। আগামী ১০ মার্চের পর নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে ডিসিসি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচন কমিশনের সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, গেজেট পাওয়ার পর থেকেই ডিসিসি নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসি। কিন্তু প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ইসি সচিবালয়ের সময় লাগবে দুই সপ্তাহ। বিশেষ করে তফসিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা পুনর্বিন্যাস ও ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। প্রাথমিক প্রস্তুতির রিপোর্ট কমিশনে জমা দেয়ার পরে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে কবে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব হবে। গত সোমবার বিকেল ৫টার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে ডিসিসি সীমানার বিষয়ে একটি গেজেট ইসি সচিবালয়ে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬, ৪৭ সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ১৯ নম্বর সংরক্ষিত আসনের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। এ অবস্থায় ওয়ার্ডগুলোর সীমানা নির্ধারণের জটিলতা নিষ্পত্তি হওয়ার পেক্ষিতে ডিসিসি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সীমানা বিষয়ক এ গেজেট ইসিতে পৌঁছানোর পরেই ডিসিসি নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি আগেই রয়েছে। এখন গেজেট আসার পর কবে নাগাদ নির্বাচন সম্পন্ন হবে তা কমিশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে জানা গেছে, বর্তমানে সারাদেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। এর পরেই শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। কমিশন এসব বিষয় মাথায় রেখেই নির্বাচন পরিচালনার কথা ভাবছে। এছাড়া দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও ভাবতে হচ্ছে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পর ধর্মীয় কোন উৎসব আছে কিনা বা জাতীয় কোন দিবস বা রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠান থাকলে তাও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে তফসিল ঘোষণার জন্য। কমিশন জানিয়েছে, কোন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে ৪৫ দিন সময় হাতে নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে ইসি। ইসি সচিবের কথামতো ডিসিসি নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগলে আগামী ১০ মার্চের আগে তফসিল ঘোষণা করতে পারছে না। এরপর নিয়ম অনুযায়ী যদি আর ৪৫ দিন সময় হাতে রেখে নির্বাচন পরিচালনা করা হয় তাহলে এপ্রিলের শেষে অথবা মে মাসের প্রথম দিকে নির্বাচন করতে হবে। এর আগে কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়বে। জানা গেছে, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময়ে ভোটকেন্দ্র নির্বাচন নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে ইসি। সাধারণত নির্বাচনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেই ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালে নির্বাচন করতে গেলে ভোটের জন্য কেন্দ্র পাওয়া যাবে না। জানা গেছে, এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আলোচনা করে ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংক্ষিপ্ত এক ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় এখন এ নির্বাচন নিয়ে অনেকেই উৎসাহী হয়ে উঠেছে। ঢাকা দক্ষিণের একটি ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের সীমানা বিষয়ক জটিলতার কারণে উদ্যোগ নিয়েও নির্বাচন করতে পারেনি ইসি। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকায় ইসির পক্ষে নির্বাচন নিয়ে কিছুই করার ছিল না। এখন এ সমস্যা সমাধান হওয়ায় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। কিন্তু ১০ মার্চের পরে প্রস্তুতির প্রাথমিক রিপোর্ট কমিশনে জমা দেয়া হবে।
×