ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

আমাদের গ্রাম থেকে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্বে। ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় রেডিও চট্টগ্রাম থেকে আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা এমএ হান্নান এবং বেতারের বেলাল মোহাম্মাদের কণ্ঠে থেমে থেমে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছিলাম। তাঁরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে সু-পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তখন বুঝতে পারলাম পাকিস্তানী হানাদারদের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে গেছে। পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার থেকে তখনকার প্রেক্ষাপটে এক অচেনা কণ্ঠে ইংরেজীতে শুনলাম- ‘আমি মেজর জিয়া বঙ্গবন্ধুর পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি, জয় বাংলা। তখন জনসাধারণ্যে সম্পূর্ণ অচেনা ছিলেন বিধায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে না বললে তাঁর ঘোষণা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য হতো না। পাকিস্তানী সেনারা বাঙালীদের হত্যা করে এদেশ পোড়ামাটি বানাতে চেয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও মুজিবনগর সরকারের সুবাধে ভারতসহ বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সাহায্য-সহযোগিতা পেয়েছিলাম। ৯ মাসের যুদ্ধে ভারত সরকার আমাদের আশ্রয়সহ বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা না করলে মেজর জিয়াসহ আমাদের বেঁচে থাকা দুরূহ ব্যাপার ছিল। নিন্দুকরা বললেও তখন ভারতের স্বার্থ যাই থাকুক না কেন, তাদের সাহায্য-সহযোগিতায় আমরা শক্তিশালী পাকিস্তানী সেনাদের পরাস্ত করে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে এনেছি এবং পৃথিবীর বুকে বীর বাঙালী হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের এ ধরনের সংক্ষিপ্ত তথ্য গণমাধ্যমে বার বার প্রচার করা হলে মহল বিশেষের ইতিহাস বিকৃতি ঠাঁই পাবে না এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে গৌরববোধ, আত্মবিশ্বাস ও কর্মস্পৃহা অনেকগুণ বেড়ে যাবে। নুরুল আলম বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা, কার বাড়ছে আর কার কমছে? যে কোন নেতা বা নেত্রীর এবং দলের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর একমাত্র উপায় হলো সততার সঙ্গে রাজনীতি করা, জনকল্যাণমুখী আদর্শ সামনে রেখে এগিয়ে চলা, নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করা এবং সহনশীলতার সঙ্গে নিজেকে এবং দলকে পরিচালিত করা। জাতীয় রাজনীতিতে যে কোন রকম হটকারী সিদ্ধান্ত শুধু দলকেই নয় দেশেরও বিরাট ক্ষতি করতে পারে। তাই যারা বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে আছেন এবং যারা সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত তাদের কাছে আকুল আবেদন। বিশ্বরাজনীতির দিকে তাকিয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গলের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। আমাদের দেশের রাজনীতিতে বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অত্যন্ত জনপ্রিয় দল নানা ভাবেই এই দুটি দল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই দুটি দলের মধ্যে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আর বিএনপির জন্ম হয়েছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে। বর্তমানে বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দলকে যে চরম ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে, তা দেশ ও জাতির জন্য ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনবে। বিএনপির কর্মকা- দেখে মনে হচ্ছে- এই দলটিকে এখন আর বিএনপি চালাচ্ছে না। নিশ্চয়ই অন্য কোন অপশক্তির কবলে পড়েছে। এই অপশক্তির কবল থেকে বিএনপিকে রক্ষার জন্য দলের নেতাকর্মী, সুশীল সামজের জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের দায়িত্ব এই দলটিকে রক্ষা করা। অন্যথায় বিএনপির শূন্যস্থানে অন্য কোন অপশক্তি চলে আসতে পারে। বিপ্লব ফরিদপুর বাংলা শব্দ ব্যবহারে- সড়কের পাশে ব্যানার, বাড়ি বা দোকানের সামনে বিভিন্ন নেমপ্লেটে, বিলবোর্ড, কিংবা গাড়ির স্টিকারে দেখা যায় নানা ধরনের উপদেশ, নির্দেশনামা বা প্রচারণামূলক লেখা। যার কিছু স্থায়ী ও কিছু অস্থায়ী। এই উপদেশ ও নির্দেশনামা সব বাংলা ভাষায় লেখা। অথচ সব লেখা পড়লে পিলে চমকে ওঠার মতো অবস্থা হয়। সরকারী বা বেসরকারী অনেক স্থায়ী বা অস্থায়ী ব্যানারে আজকাল ভুল বানান ও ভুল অর্থে লেখা দেখা যায়। বানান ভুলের বিষয়টি তো অহরহ হয়ে থাকে। যেমন বাসে উঠলে আপনি দেখবেন লেখা থাকে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। আর সেটা যদি কেউ ‘বংশের‘ জায়গায় ‘ভংশের’ পরিচয় তাহলে তা কতটা বিকৃত তা অনুমান করা যায়। আবার কোন দোকানের সামনে লেখা থাকে ‘এখানে খাঁটি গরুর দুধ পাওয়া যায়’। অথচ লেখাটি হওয়ার কথা ছিল ‘এখানে গরুর খাঁটি দুধ পাওয়া যায়’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এই ধরনের ভুল বানান ও বাক্যের ছবি তুলে অনেকে পোস্ট করে থাকেন। যার প্রধান কারণ হলো মানুষকে সচেতন করা, ভুলে ভরা এই ধরনের বিষয়গুলোকে শুধরানো। এদেশের মানুষ ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে। অথচ সেই ভাষাকে সংশোধন করার জন্য আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। সব কিছু আইন করে সংশোধন করা যায় না। এর জন্য সামাজিক সচেতনতা ও ব্যাক্তিগত উদ্যোগের প্রয়োজন আছে। আসুন আমরা ভাষার প্রতি সচেতন হই। নাজনীন বেগম আসাদ এভিনিউ, ঢাকা
×