ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘ফিরে ফিরে ৭১’

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২ মার্চ ২০১৫

স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ টেলিফিল্ম  ‘ফিরে ফিরে ৭১’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ টেলিফিল্ম ‘ফিরে ফিরে ৭১’। মঞ্জু সরকারের গল্প অবলম্বনে মির্জা রাকিবের রচনায় টেলিফিল্মটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন সাদেক সিদ্দিকী। টেলিফিল্মের বিভিন্ন চরিত্র অভিনয় করেছেন- শাহরিয়ার নাজিম জয়, ঈশানা, গাজী রাকায়েত, হান্নান শেলী, আশরাফ কবীর প্রমুখ। টেলিফিল্মের সূচনা সঙ্গীতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাহফুজুর রহমান ও শিমু। টেলিফিল্ম প্রসঙ্গে সাদেক সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনে আনন্দ-বেদনার অবিচ্ছেদ্য এক মহাকাব্য। তাই শুধু নির্মাণ নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতেই আমার এই প্রয়াস। আশা করি দর্শকরা টেলিফিল্মটির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বের গল্প যেমন দেখবেন, তেমনি অনুভব করবেন অশ্রুভেজা হাহাকারের কথা। প্রসঙ্গত, আমাদের ভাবনা, সাহিত্য, চলচ্চিত্র, নাটক ও চিত্রশিল্পে ১৯৭১ ফিরে আসে কখনও বেদনার অশ্রুতে আবার কখনও আনন্দের প্রাপ্তিতে। এদেশের লাখ লাখ খেটে খাওয়া মানুষের রক্তভেজা ত্যাগের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছে সেখানে আজও সন্তান হারানোর হাহাকার বুকে নিয়ে বেঁচে আছেন অসংখ্য পিতা। তেমনি একজন কুতুবুদ্দীন। গ্রামের সাদাসিধে এই মানুষটি নিজের পঙ্গুত্বের কারণে যুদ্ধে যেতে পারে না। কিন্তু গ্রামের শিক্ষক, চিকিৎসক, কৃষক, শ্রমিক ও তরুণদের উদ্বুদ্ধ করেন বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য। শুধু সংগঠক থেকেই ক্ষান্ত হন না লড়াকু কুতুবুদ্দীন। নিজের সদ্য কৈশোরে পা বাড়ানো ছেলে হাবিবকে তারই প্রতিনিধিত্ব করার জন্য পাঠান যুদ্ধে। হয়ত ফিরবে না সন্তান তাতে কী, দেশমাতৃকার ঋণতো শোধ হবেÑ এ ভাবনায় উজ্জীবিত হয়ে হাবিব চলে যায় যুদ্ধে কিন্তু হয় না আর ফেরা তার। মুক্তিযুদ্ধে কুতুবুদ্দীনের মতো সহস্র পিতা হারিয়েছেন তাঁদের সন্তান। সেই হারানোর হাহাকার নিয়ে বেঁচেও আছেন। এমনি প্রেক্ষাপট নিয়ে নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্মটি।
×