ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোন বিদেশীর কথায় নয়, সংলাপ হবে ইসির সঙ্গে ’১৯ সালের নির্বাচন বিষয়ে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২ মার্চ ২০১৫

কোন বিদেশীর কথায় নয়, সংলাপ হবে ইসির সঙ্গে ’১৯ সালের নির্বাচন  বিষয়ে ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মাথা ঠা-া করে ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিম। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, এখনও সময় আছে কার্যালয় থেকে বের হয়ে দেখুন, আপনার তথাকথিত হরতাল-অবরোধ হচ্ছে কিনা? জনগণ এসব সমর্থন করে না। আর বিদেশীদের পায়ে ধরে কোন লাভ নেই। স্পষ্ট করে বলতে চাই, কোন বিদেশীর কথায় সংলাপ হবে না। সংলাপ হবে কেবল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে, ২০১৯ সালের নির্বাচনের বিষয়ে। রবিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে বিমান অফিসের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ নাসিম এ সব কথা বলেন। যানজটের কারণে সমাবেশস্থলে পৌঁছতে কিছুটা দেরি হওয়ায় বিএনপির চলমান অবরোধ-হরতালকে ব্যঙ্গ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আর কোনদিন সত্যিকারের আন্দোলন হবে না। বেগম জিয়া আন্দোলনের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। এমন হরতাল-অবরোধ বাংলার মানুষ আগে কোনদিন দেখেনি। হরতাল যদি এরকম হয়, তাহলে আমরাও কোনদিন আর সত্যিকারের হরতাল করতে পারব না। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে নাসিম আরও বলেন, পেট্রোলবোমা মেরে, মানুষকে খুন করে মানুষের মন জয় করা যায় না। ভাবতে দুঃখ লাগে, আপনি একদিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন। জনগণের নেত্রী ছিলেন। আর এখন জঙ্গীর নেত্রী, বোমাবাজদের নেত্রী, খেটে খাওয়া শ্রমিকদের পেটে লাথি মারার নেত্রী হয়ে গেছেন। এখনও সময় আছে, মাথা ঠা-া করে চার বছর পরের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। বিএনপি এখন আন্ডারগ্রাউন্ড দল হয়ে গেছেÑ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায়, তখন আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড ছিল। সেই ব্যারিকেড ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতারা আন্দোলন করেছেন। পুলিশের মার খেয়েছেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই আন্দোলন করতে গেলে বাধা আসে। আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ কি ফুল দিয়ে বরণ করবে? স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে পালিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বিবৃতি দিচ্ছেন। আর নিরীহ মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। সাদেক হোসেন খোকা এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার টেলিফোন কথোপকথনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, টেলিফোন আলাপের পরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ পড়েছে। জঙ্গীরাই অভিজিৎকে হত্যা করেছে। এর বিচার অবশ্যই হবে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেনÑ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
×