ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শতবর্ষে পা দিল হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ৪ মার্চ ২০১৫

শতবর্ষে পা দিল  হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ১৯০৫ সালে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিন্তা মাথায় নিয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। একই সময় সবুজ ও আকর্ষণীয় পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্য নিয়ে পাকশী এলাকায় হাজার হাজার কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানো হয়। একদিকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয় অন্যদিকে রেলওয়ে বিভাগীয় অফিস স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো লাগানো হয় গোটা পাকশীকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে। সেই ১শ’ বছর আগে লাগানো কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোই বিশাল আকৃতির ডালপালা দিয়ে গোটা শহরকে আগলে রেখেছে। যা চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। পদ্মা নদীর পাড়ে সেই সব শতবর্ষী দাদাঠাকুর কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো ডালপালা দিয়ে গোটা শহরকে ঢেকে রাখার দৃশ্য দেখলে মনে হয় সেখানে শুধুই ভালবাসা লুটোপুটি করছে। উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ও প্রকৃতির রূপ তিলক বলে পরিচিত ঈশ্বরদী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে পাকশী ইউনিয়নের ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজের পাদদেশে ও প্রমত্তা পদ্মা নদীর কোলঘেঁষে এই পাকশী নামক সবুজে ঘেরা ছোট শহরটির পাকশী। প্রায় ৩ হাজার একর জমির ওপর পাকশী শহর অবস্থিত। নগর-মহানগরের কোলাহল থেকে অনেক দূরের এক পিকনিক কর্নার পাকশীর পদ্মা নদীরপাড়। বাংলাদেশসহ বিদেশী মানুষের কাছে পাকশী পিকনিক কর্নার, প্রাকৃতিক রূপতিলক ও ব্রিটিশ প্রকৌশলী রবার্ট উইলিয়াম গেলসের কর্মজীবনের স্মৃতিস্থান বলে পরিচিত। এখানে শীত মৌসুমে বেশি আর বছরের অন্যান্য মৌসুমেও অসংখ্য দেশী-বিদেশীদের ভিড় জমে। পাকশীতে রয়েছে, ঐতিহাসিক ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, প্রমত্তা পদ্মা নদী রবার্ট উলিয়ামের বাংলো, চীনা মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরোর আকর্ষণীয় একাধিক বাংলো ইপিজেড, ১৯০০ সালে ইংল্যান্ডে তৈরি স্টিম ইঞ্জিন (অব্যবহৃত) উঁচু পাহাড়ের ন্যায় রেললাইনের ওপর স্টেশন অফিস, কাগজ কারখানা, ফুরফুরা শরীফের খানকা শরীফ, পাকশী রিসোর্ট, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। ছোট স্টিম ইঞ্জিনটি পর্যটকদের বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে যায় দূর থেকে দূরান্তরে। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে সরাসরি সড়ক ও এতদঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য হার্ডিঞ্জ সেতুর ৩শ’ মিটার ভাটিতে নির্মিত হয়েছে পাকশী সেতু। এ সেতুর নির্মাণকে ঘিরে পদ্মা নদীর পাদদেশে গড়ে উঠেছে সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী কর্মকর্তাদের সৌন্দর্যম-িত আবাসিক এলাকা।
×