ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের কসমেটিকস পণ্য জব্দ

প্রকাশিত: ০৮:৪৮, ৫ মার্চ ২০১৫

সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের কসমেটিকস পণ্য জব্দ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার একটি কসমেটিকস কারখানার গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ নিম্নমানের কসমেটিক্স ও নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। শুল্ক গোয়েন্দার একটি বিশেষ টিম বুধবার র‌্যাব-এর সহযোগিতায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে এ সব পণ্যের সন্ধান পায়। বিদ্যুত বাংলা লিমিটেড, মুনস্টার মার্কেটিং ও মুনস্টার পণ্যাগার নামের তিনটি প্রতিষ্ঠানের গুদামে মজুদ ছিল এ সব পণ্য। শুল্ক গোয়েন্দা মহাপরিচালক ডক্টর মইনুল খান জনকণ্ঠকে জানান, এসব বিদেশ থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা। এগুলোর কোন বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। অত্যন্ত নিম্নমান ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য কম মূল্যে কিনে আনা হয়। পরে এগুলোতে বিদেশী নামীদামী ব্র্যান্ডের পণ্যের মোড়ক লাগিয়ে বাজারজাত করা হতো। এর কোনটিতেই বিএসটিআই-এর অনুমোদন নেই। এসব পণ্যের আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা। কারখানার মালিক পলাতক। জানা যায়, এ কোম্পানির মালিক বেলাল। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এ গোডাউনে মজুদ রেখে এ জাতীয় পণ্যের ব্যবসা করে আসছেন। মূলত ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার জন্যই এ কৌশলে চোরাচালানে জড়িত বেলাল। বুধবার সকাল থেকেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক গোয়েন্দা এখানে হানা দেয়। দিনভর চালানো এ অভিযান চলে রাত পর্যন্ত। এখানে কমপক্ষে ২০ কন্টেনার মালের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় সব পণ্যের জব্দ তালিকা তৈরি করার ব্যস্ত ছিল শুল্ক সদস্যরা। শাহজালালে ওষুধ উদ্ধার॥ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৬০ কেজি ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ব্যাংকক থেকে আসা একটি ফ্লাইট থেকে বুধবার ভোরে এসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী কমিশনার উম্মে নাহিদা আক্তার জানান, এসব ওষুধের আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা। এসব ওষুধের অধিকাংশই ব্যথানাশক ও হৃদরোগের। বিজিবির অভিযান ॥ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ৬৪ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ২৪৫ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্মুখী চোরাচালানের আর্থিক মূল্য ৫৯ কোটি ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৫ টাকা এবং বহির্মুখী চোরাচালানের আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ২০ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬০ টাকা। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মাদকদ্রব্যও আটক করা হয়। আটককৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৪০,৩৮১ বোতল ফেনসিডিল, ৬,১৪,৩১৫টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ১,০২,৪১১টি উত্তেজক ট্যাবলেট, ২৩,২৭০ বোতল বিদেশী মদ, ১,০৯৬ লিটার স্থানীয় মদ, ১,০৬৯ ক্যান বিয়ার, ৫৮১ কেজি গাঁজা, ২ কেজি ৫৪৫ গ্রাম হেরোইন, ২,৯৮৬টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন এবং ২,৮৮,৮১৯টি বিভিন্ন প্রকারের ট্যাবলেট। গত ১ মাসে বিজিবির অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৮ পিস্তল, ৬ বন্দুক, ৪ ম্যাগাজিন, ৩ ককটেল এবং ৩৬ রাউন্ড গুলি ।
×