ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াত শিবিরের নাশকতা

রামেক বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছেন সাহেব ও ফিরোজ

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ৬ মার্চ ২০১৫

রামেক বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছেন সাহেব ও ফিরোজ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আবার বাড়ছে পেট্রোলবোমায় দগ্ধ রোগীর সংখ্যা। মঙ্গলবার রাতে দগ্ধ শিশু শাকিলের পর বুধবার রাতে আরও দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে। এরাও জামাতি নাশকতার শিকার। বুধবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের রহনপুর মাদ্রাসা এলাকায় জামায়াত-শিবিরের পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হন এরা। রামেক হাসপাতালের বেড়ে এখন ব্যান্ডেজে মোড়ানো পোড়া শরীর নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাৎরাচ্ছেন। এরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ এলাকার ওমার আলীর ছেলে বাসের হেলপার ফিরোজ (৩০) ও আলু ব্যবসায়ী শিবগঞ্জের পিঠালিতলা এলাকার সেতাবুর রহমানের ছেলে সাহেব আলী (৪০)। হেলপার ফিরোজের শরীরের ২০ শতাংশ আর সাহেব আলীর ৪৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আহতদের স্বজনরা জানান, মহাদেবপুর থেকে ট্রাকে আলু নিয়ে ফিরে আসার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর মাদ্রাসা এলাকায় বুধবার গভীর রাতে অবরোধকারীরা পরপর কয়েকটি পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে। এতে একসঙ্গে অগ্নিদগ্ধ হন তারা দুইজন। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জানা গেছে, আলুর ব্যবসা করে সংসার চলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জের পিঠালিতলা এলাকার সেতাবুর রহমানের ছেলে সাহেব আলীর (৪০)। জীবিকার প্রয়োজনেই আলু কিনতে গিয়েছিলেন নওগাঁ জেলার মহাদেবপুরে। ফেরার পথে অবরোধকারীদের পেট্রোলবোমা হামলার শিকার হন। এখন শরীরের ৪৬ শতাংশ পোড়া নিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন সাহেব আলী। সাহেব আলীর পাশে থাকা তার শ্যালক মমিনুল ইসলাম জানান, পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষের এই পরিণতিতে এখন পুরো পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার। তার প্রশ্ন ‘তাদের তো কোন দোষ নেয়, তবে কেন এই পরিণতি হতে হলো। আর কত মানুষকে এভাবে পোড়াবে ওরা।
×