ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হরতালের প্রভাবে রুগ্ন হচ্ছে নীলফামারীর শিল্প কারখানা

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ৭ মার্চ ২০১৫

হরতালের প্রভাবে রুগ্ন হচ্ছে নীলফামারীর  শিল্প কারখানা

স্টাফ রির্পোটার, নীলফামারী ॥ টানা দুই মাসের অবরোধ ও হরতালের প্রভাব পড়েছে নীলফামারীর ক্ষুুদ্র শিল্প কারখানাগুলোতে। কাঁচা মালামালের সংকটসহ চাহিদা মতো উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে এসব ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা। এতে বেকার হয়ে পড়বে এসব শিল্পের লক্ষাধিক শ্রমিক এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এ জেলায় পাঁচ শতাধিক ক্ষুুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে বালতি, ট্রাঙ্ক, ড্রাম, জুতাÑস্যান্ডেল, আগরবাতি, মোমবাতি, গোলাপজল, চকলেট, প্যাকেট, স্টিল, প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্র ও রুটি-বিস্কুট উল্লেখ যোগ্য। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন জেলার লক্ষাধিক শ্রমিক। কিন্তু, বর্তমান সময়ের টানা অবরোধ আর হরতালে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় কাঁচামাল আমদানি এবং উৎপাদিত পণ্য বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করতে না পারার কারণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ফলে, লোকসানের চাপে ক্রমশ রুগ্ন হয়ে বন্ধ হতে চলেছে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান। শিল্প মালিকরাও এর থেকে বাইরে নন। তাঁদের উপরেও পড়েছে এর বিরূপ প্রভাব। নিয়মিত পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের বোঝা বাড়ছে প্রতিদিন, হচ্ছেন দেনাদার। সঙ্গে বাড়ছে লোকসানও। এ ব্যাপারে নীলফামারী মা বেকারির স্বত্বাধিকারী নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, হরতালের কারণে। মালামাল আমদানি ও রফতানি সঠিকভাবে না হওয়ায় খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের। আমার ২৪ কর্মচারীর মধ্যে ১০ জনকে ছেড়ে দিয়েছি। নীলফামারীর সবুজপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত স্টিল সামগ্রী তৈরির ফ্যাক্টরি সত্য ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মীর হোসেন ব্যাপারী জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে। এখন কারখানায় কাজ করছে ১২জনের মধ্যে ৫জন কর্মচারী। ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠান করেছি। এখন ঋণের বোঝা দিন দিন ভারি হচ্ছে। নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এসএম শফিকুল আলম ডাবলু বলেন, সব দিকেরই অবস্থা নাজুক, নেতিবাচক। বিশেষ করে যাঁরা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়েছেন তাঁদের অবস্থা মোটেই ভাল না।
×