ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাবেশ

ত্বকী, অভিজিৎ হত্যা মানে মুক্তিযুদ্ধের নির্যাস হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৭ মার্চ ২০১৫

ত্বকী, অভিজিৎ হত্যা মানে মুক্তিযুদ্ধের নির্যাস হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহম্মদ ত্বকী হত্যার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ঐক্য ন্যাপের আহ্বায়ক, প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেছেন, আমি আমার ৫৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে নেতা, কর্মী, জনগণের অংশগ্রহণবিহীন এ রকম আন্দোলন, হরতাল দেখিনি। পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে। ত্বকী, অভিজিৎকে হত্যা করা মানে মুক্তিযুদ্ধের নির্যাসকে হত্যা করা। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাবা-মা ভাই হত্যার বিচার ও ইনডেমনিটি বিল বাতিলের দাবিতে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন, তবে তিনি কেন ত্বকী হত্যার বিচার চাইবেন না? কেন ত্বকী হত্যার বিচারহীনতার জন্য অঘোষিত ইনডেমনিটি তৈরি হবে? বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হবে না। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের ২নং রেলগেট চত্বরে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের উদ্যোগে সংগঠনের আহ্বায়ক ও ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহম্মদ, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি হালিম আজাদ, সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রমুখ। আনু মুহম্মদ বলেন, ত্বকী হত্যার বিচার ত্বকীকে ফিরিয়ে দেবে না। তবে জীবিত শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এই হত্যার বিচার জরুরী। যারা ত্বকীকে হত্যা করেছে তারা আসলে স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে এদের কোন পার্থক্য নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে ৪১ বছর পর। এদের বিচারও একদিন হবেই। ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির কারণেই ত্বকী হত্যার বিচার হচ্ছে না। তবে এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল বিলম্বিত করাতে পারবে, কিন্তু কোন শক্তিই বিচার বন্ধ করতে পারবে না। এটি ইতিহাসের শিক্ষা।
×