ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাঠমান্ডু বিমানবন্দর অচল

বাংলাদেশীসহ আটকেপড়া যাত্রীদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৮:১৬, ৭ মার্চ ২০১৫

 বাংলাদেশীসহ আটকেপড়া যাত্রীদের দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একটি বিদেশী এয়ারলাইন্সের এয়ারক্র্যাফট রানওয়েতে পড়ে থাকার কারণে নেপালের কাঠমা-ুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখনও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশী যাত্রীসহ বিভিন্ন দেশের কয়েক শ’ যাত্রী কাঠমা-ুতে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শত শত বাংলাদেশী যাত্রী এখনও কাঠমান্ডু পড়ে আটকা থাকার পাশাপাশি ঢাকা থেকেও কোন উড়োজাহাজ সেখানে যেতে পারছে না। ফলে উভয়প্রান্তের সঙ্কটে রয়েছে বিমান। জানা যায়, গত বুধবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস ৩৩০ উড়োজাহাজ ২২৪ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। উড়োজাহাজটির পাখা ও লেজ রানওয়ের অর্ধেক পর্যন্ত চলে এসেছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক রুটের কোন ফ্লাইট কাঠমা-ু ছেড়ে যেতে ও অবতরণ করতে পারছে না। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানায়, শুক্রবারের মধ্যে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সূত্র জানায়, উড়োজাহাজ যেভাবে রানওয়ের পাশে পড়েছে, এতে রানওয়ের দৈর্ঘ্যর মাত্র ৫ হাজার ফিট ব্যবহার উপযোগী রয়েছে। এই স্বল্প দৈর্ঘ্য আন্তর্জাতিক কোন ফ্লাইট অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন সম্ভব নয়। দুর্ঘটনার পর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে শুধু অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এ দুর্ঘটনার পর বিভিন্ন দেশের মতো কাঠমা-ুতে চলাচলকারী একমাত্র বাংলাদেশী এয়ারলাইন্স বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটও বন্ধ রয়েছে। বিমান থেকে জানানো হয়, ত্রিভুবন বিমানবন্দরের খবর অনুযায়ী তারা আজ (শনিবার) থেকে বিমানের ঢাকা-কাঠমা-ু ফ্লাইট ফের চালুর সূচী ঘোষণা করেছেন। এ বিষয়ে বিমানের একজন পরিচালক নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ঢাকা থেকে কাঠমা-ুতে যাত্রী নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়। কাঠমা-ুতে যে শতাধিক বাংলাদেশী যাত্রী আটকা পড়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনা নিয়েই আমরা বেশি চিন্তিত। রানওয়ে সচল হয়েছে কি-না তা জানতে বিমানবন্দরের বাইরে এসব যাত্রী ভিড় করছেন। কাঠমা-ুতে থাকা অনেক বাংলাদেশী পর্যটকের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। কারণ তারা নেপালের বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে ও শপিং করে হাতে থাকা সব টাকা শেষ করে ফেলেছেন। শেষ মুহূর্তে এসে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কিন্তু ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে এত বড় উড়োজাহাজ সরানোর মতো আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় যাত্রীদের এই ভোগান্তি।
×