ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কাল বৈঠকে বসছেন মমতা

প্রকাশিত: ০৮:০৩, ৮ মার্চ ২০১৫

নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কাল বৈঠকে বসছেন মমতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল সোমবার দিল্লীতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। মোদির সঙ্গে এই বৈঠকে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টিও তুলে ধরবেন মমতা। এ সময় তিনি তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে তার ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের গণমাধ্যম এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সূত্র জানায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠকের মূল বিষয় পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক ইস্যু। কিন্তু এর পাশাপাশি এ বৈঠকে বাংলাদেশ সফরের বিষয়গুলিও উঠে আসবে। আলোচনায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গও গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশ সফরে এসে তিস্তা এবং ছিটমহল নিয়ে নিজের ইতিবাচক মনোভাবের কথা প্রকাশ করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ বিষয়ে অবহিত করবেন। তার নিজের মনোভাবও তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, মমতা ব্যানার্জী ও নরেন্দ্র মোদির এই বৈঠকের পর তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে তাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত রূপ দিতে পারে বিজেপি সরকার। মমতা গত ১৯-২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সফরে এসে তিস্তার বিষয়ে তাঁর প্রতি আস্থা রাখতে বলেন। তবে তিনি এখন আস্থা রাখতে বললেও তাঁর বিরোধিতার কারণেই ২০১১ সালে তিস্তা চুক্তি হতে হতেও আটকে যায়। ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সফরে আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নেন মমতা। তিনি তখন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ‘স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে’ এই চুক্তিকে তিনি সমর্থন করতে পারেন না। মনমোহনের সেই সফরে স্থল সীমান্ত একটি চুক্তির প্রটোকল সই হয়, যার মধ্য দিয়ে ১৯৭৪ সালের ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময়ের পথ খোলে। কিন্তু এই প্রটোকল কার্যকর করতে ভারতের সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে থাকে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণেই। ভারতের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি বিষয় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরু করলে জট খোলার আশা তৈরি হয়। তার উদ্যোগে সম্প্রতি স্থল সীমান্ত চুক্তি কার্যকরে মমতার সরকারের সায় পাওয়া যায়। বিষয়টি এখন ভারতের পার্লামেন্টে অনুমোদনের অপেক্ষায়। গতবছর শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়েও জোর চেষ্টা চালানোর আশা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে ঢাকা থেকে ফিরে গিয়ে মমতা বাংলাদেশ সফর নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন। এসবের ধারাবাহিকতায় তিস্তাজট এখন খুলতে শুরু করেছে।
×