ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সত্য ও ন্যায়ের পথে

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৯ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সঙ্গে যে-দলটি রাঙ্গা প্রভাতের মতো বাংলার আকাশে উদিত হয় সেটি আওয়ামী লীগ। মাওলানা ভাসানীর মতো নির্মোহ মানুষ থেকে শুরু করে শেরে বাংলা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন নেতার হাত ধরে যে মানুষটিকে বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের অগ্রনায়কে পরিণত করেছিলেন সেই মানুষটি হলেন বাঙ্গালী জাতির হৃদয়ের আসনে অধিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি খালেদা নিজামী জোট দেশ ধ্বংসের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। এমনকি নিরীহ মানুষকে পেট্রোলবোমায় পুড়িয়ে মেরে, যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে তা হলো ‘এসব সরকার করছে’। মিথ্যা দিয়ে, প্রতারণা দিয়ে যে-দল ক্ষমতায় এসেছে তাদের মুখ থেকে এসব কথা আসাটাই স্বাভাবিক। তারেক রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশের অভ্যৃদয়ের মহানায়কদের সম্পর্কে যে তথ্য-উপাত্ত দিচ্ছেন তা ইতিহাসের চরম বিকৃতি ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। আবদুল্লাহ মাদারীপুর দক্ষিণের পর্যটন আমাদের রূপময় বাংলাদেশও আছে সুপ্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন, পুরাকীর্তি ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। পৃথিবীর বৃহত্তম ও বিস্ময়কর জীববৈচিত্র্যে ভরা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট ‘সুন্দরবন’ বাংলাদেশের উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ এলাকাজুড়ে অবস্থিত। উপকূলীয় এ অঞ্চলে আছেÑ ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি ষাটগম্বুজ মসজিদ, অযোধ্যার মঠ, পীর খানজাহানআলীর দরগাহ্ ও মাজার, বাগেরহাট মুন্সীগঞ্জ শিবমন্দির প্রভৃতি হাজার বছরের পুরাতন দর্শনীয় স্থাপত্য। এছাড়া বঙ্গোপসাগর পাড়ে দুবলার চরে শত বছরের পুরাতন রাস মেলা, মোংলা বন্দরের অদূরে লক্ষ্মীখালির মেলা, চাঁদপাই মেলা প্রভৃতি উল্ল্যেখযোগ্য অনুষ্ঠান প্রতিবছর হয়ে থাকে। এসব নিদর্শন দেখতে প্রতিবছর শত শত দেশী-বিদেশী পর্যটক এ অঞ্চলে বেড়াতে আসেন। আবাসন ও ঘোরাফেরার সুব্যবস্থা করা গেলে এখানে পর্যটন কেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারণ হতে পারে এবং যা এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে জাতীয় সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। ষাটগম্বুজ ও এর আশপাশে আন্তর্জাতিক মানের কোন হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট গড়ে ওঠেনি আজও। এছাড়া যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও পর্যটনবান্ধব বা সহজ নয়। বিশেষ করে বহিরাগত ও বিদেশী পর্যটকদের নানা হয়রানির শিকার হতে দেখা যাচ্ছে এখানে। আরও আছে দর্শনীয় স্থানগুলো দর্শনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ। এসব প্রতিকূলতার কারণে এখানকার পর্যটনশিল্পের আশানারূপ প্রসার ও উন্নয়ন ঘটছে না। ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক-মুক্ত জীববৈচিত্র্য সহজে ও নিরাপদে দেখার উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আজও গড়ে ওঠেনি। টাওয়ারে যাতায়াত এবং খুশিমতো অবস্থান করার নিরাপদ ব্যবস্থা বা অবকাঠামো এখনও গড়ে তোলা হয়নি। সরকারীভাবে দেশে পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত থাকলেও উপকূলীয় বিরাট সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলটি সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তির প্রশ্নে এখনও যথেষ্ট পিছিয়ে আছে। অবিলম্বে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনা সাপেক্ষে দরকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন- এটাই এ অঞ্চলবাসীর প্রাণের প্রত্যাশা। অরূপ কুমার দেবনাথ বাগেরহাট [email protected]
×