ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদায় নিতে চান না মরগান

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৯ মার্চ ২০১৫

বিদায় নিতে চান না মরগান

জিএম. মোস্তফা ॥ সুতায় দুলছে ইংলিশদের ভাগ্য। বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচের তিনটিতেই হারায় তাদের সামনে এখন কঠিন সমীকরণ। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও থেকে যায় সংশয়। যদি আবার নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তবে দল এখন পর্যন্ত খুব ভাল না করলেও বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে যায়নি বলে বিশ্বাস করছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কোন ধরনের চাপও অনুভব করছেন না বলে জানালেন তিনি। একাদশতম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে শুরু করে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একই চিত্রনাট্য। তৃতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এসে বহুল কাক্সিক্ষত জয়। চতুর্থ ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে আবারও পরাজয়। এ্যাডিলেডে আজ বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ইয়ন মরগানের দল। এই ম্যাচকেই কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন ইংলিশরা। সেই সঙ্গে সিডনিতে ১৩ মার্চ দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও জয়ের বিকল্প নেই মরগানের ভাবনাতে। তার মতে, ভাল ক্রিকেট খেললে সামনে থাকা বাধা সহজেই অতিক্রম করতে পারবে ইংল্যান্ড, ‘একটা দল যখন হারতে থাকে তখন হাজার হাজার সমালোচনা বেরিয়ে আসে। সুতরাং আমাদের সামনে সেরা পন্থা হচ্ছে কী করতে পারি সেদিকে মনোযোগী হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আমরা ম্যাচ জয় শুরু করতে পারলে এসব কোন ব্যাপারই থাকবে না। তাই আমাদের নিজেদেরই ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সব কিছুর উত্তরই আমাদের নিজেদের মধ্যে। যে কারণে আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। খুব স্বাভাবিক বিষয়গুলোতে ধারাবাহিকভাবে আমাদের ভাল করতে হবে। এ পর্যন্ত আমরা সেটা করতে পারিনি। আর এ কারণেই বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে আমাদের ধুঁকতে হয়েছে।’ ‘এ’ গ্রুপের সবচেয়ে দুর্বল দল স্কটল্যান্ড। আর ইংলিশদের একমাত্র জয়টাও এই স্কটিশদের বিপক্ষে অথচ শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। প্রথমে ব্যাট করে ৩১০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়লেও মাত্র ১ উইকেট হারিয়েই ১৬ বল বাকি রেখে সহজেই ম্যাচ জিতে যায় লঙ্কানরা। আর সেই সিংহলীদের বিপক্ষে ম্যাচ থেকেই শিক্ষা নিতে চায় ইংল্যান্ড। যা বাকি থাকা দুই ম্যাচে কাজে লাগাবে ইয়ন মরগান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দলের সকলেই পুরোপুরি নির্ভার। সব কিছু বিচার করতে এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে কি ঘটেছিল তা পর্যালোচনা করতে আমরা এক সপ্তাহ সময় পেয়েছি। তাদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে কিছু ইতিবাচক দিকও ছিল। যার মধ্যে একটি ছিল ৩০০ রান করা। জো রুটের সেঞ্চুরিটি ছিল অসাধারণ। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে শেষ ১০-১২ ওভার আমরা খুবই ভাল করেছি। তবে আমাদের বোলিং নিয়ে কিছুটা চিন্তা আছে।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। তার মধ্যে মাত্র ২টিতে হেরেছে ইংল্যান্ড। বাকি সবটিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে তারা। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে যথেষ্ট ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে মরগানের দল। ভক্ত-অনুরাগীদের জয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না তিনি, ‘অবশ্যই আমরা জয়ের নিশ্চিয়তা দিচ্ছি না। গত দশ বছরে তারা অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। আমরা তাদের পক্ষে অনেক ম্যাচ খেলেছি। অনেক বেশি ফোকাস আমাদের ওপরই থাকছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আমরা যদি ভাল খেলি তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এ ম্যাচে আমরাই জয় পাব।’ এবারের বিশ্বকাপে নিষ্প্রভ ইংল্যান্ড। বিশেষ করে একেবারেই ফর্মে নেই গ্যারি ব্যালেন্স। তার পরিবর্তে টপ অর্ডারে হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান এ্যালেক্স হেলসের খেলা নিশ্চিত মনে করছেন অনেকেই। তবে তা ম্যাচের আগে জানাতে অস্বীকার করেন মরগান, ‘গ্যারি এবং হেলসের মধ্যে পার্থক্য করার মতো খুব বেশি কিছু নেই। দলে কাউকে পরিবর্তন করাটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। সুতরাং তাড়াতাড়ি কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না আমরা।’ চার ম্যাচে দুজনে মিলে মাত্র চার উইকেট শিকার করলেও নিজের দুই পেসার সুপারহেড জেমস এন্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ছন্দে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন মরগান, ‘তাঁরা দুজনই ব্যতিক্রম ধর্মী বোলার। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে তারা হয়তবা সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারছেন না। এটা করার জন্য তাঁরা সত্যি সত্যিই কঠোর অনুশীলন করছেন। শুরুতে তাঁরা খুব বেশি উইকেট নিতে পারেননি। এই মুহূর্তে তাঁরা তাঁদের সেরা অবস্থায় নেই।’
×