ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৩ মার্চ ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

মূলধারায় ফিরে আসুন এক মাসের অধিক সময় ধরে চলছে অবরোধ। সঙ্গে চলছে হরতালের পর হরতাল। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট এ অযৌক্তিক ও প্রাণসংহারী কর্মসূচী দিয়ে চলেছে। এর মধ্যে চলছে এসএসসি পরীক্ষা। শত অনুরোধ উপরোধেও ২০ দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার হৃদয় টলেনি, গলেনি মন। কোমলমতি শিশুরা আতঙ্কিত মন নিয়ে বাধ্য হচ্ছে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। পরীক্ষা যে আশানুরূপ হচ্ছে না তা বলাই বাহুল্য। কতদিনে পরীক্ষা শেষ হবে তা কেউ বলতে পারছে না। চলমান কর্মসূচী যে রাজনৈতিক কর্মসূচী নয় তা ওই গোঁয়ার রাজনীতিকদের কে বোঝাবে? রাজনৈতিক কর্মসূচী তো হয় জনসাধারণের কল্যাণে। এ কর্মসূচী দেশ-জনতার কল্যাণের বদলে অকল্যাণ ডেকে আনছে, তা ওই কর্মসূচীদাতারা যদি না বোঝেন তার চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে। এতো মানুষের প্রাণহানি, আর্তনাদের কথা কি খালেদা জিয়ার কানে পৌঁছায় না? খালেদা জিয়া আসলে কী চান? তার দাবি- সব দলের অংশগ্রহণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। এটা যেন মামার বাড়ির আবদার, চাইলেই পাওয়া যায়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্টের মাধ্যমে যে পদ্ধতি বাতিল ঘোষিত হয়েছে, সেই পদ্ধতিতে কী করে নির্বাচন সম্ভব, তা তিনি বা তার সহচররা বলছেন না। গত বছর ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ে অংশ না নিয়ে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছেন। এখন মানুষ হত্যা করে, জঙ্গীর সহায়তায় ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তার এই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা বর্তমান সরকারের প্রতি জনসাধারণের অকুণ্ঠ ও একচেটিয়া সমর্থন। এই জনসমর্থনই তার বড় ভয়। অনুরোধ করব- জনহত্যা নয়, জনসমর্থন অর্জন করার গ্রহণযোগ্য কর্মসূচী দিন। যেসব হত্যাকাণ্ড আপনার নির্দেশে ঘটেছে তার দায়ও আপনাকে বহন করতে হবে। অনুরোধ করবো খালেদা জিয়া দ্রুত মূল ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। অনিমা ডি কস্তা মিরপুর, ঢাকা। বোমাবাজদের সঙ্গে সংলাপ নয় সারাদেশে যে সন্ত্রাসী আক্রমণ চলছে তা বন্ধের জন্য অনেকেই বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের কথা বলছেন। কিন্তু সংলাপে এই সহিংসতা বন্ধ করা যাবে না। বর্তমানে বিএনপি-জামায়াতের যে সকল দাবি রয়েছে তা মানতে হলে দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। বিএনপির প্রধান দাবি তাদের ক্ষমতায় বসাতে হবে। আর জামায়াতের প্রধান দাবি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে আটক অপরাধীদের মুক্তি দিতে হবে। যা একেবারেই অযৌক্তিক। সংলাপে বসার পরিবেশ তৈরির জন্য বিএনপি কে এগিয়ে আসতে হবে। যেহেতু জামায়াত একটি জঙ্গী সংগঠন হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত, তাই বিএনপিকে জামায়াত ও সংগঠনগুলোর সঙ্গে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে। সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতি করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি বন্ধ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু এ দেশের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। এ দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের বিপরীতে একটি শক্তিশালী বিএনপি কে চায়। যে বিএনপি দেশের মানুষের কথা বলবে, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ধারণ করবে, উদার, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দল হিসেবে জনগণের দাবি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করবে। বিএনপিকে বুঝতে হবে বিশ্ব রাজনীতি আজ জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদের বিপক্ষে। যেহেতু বিএনপি একটি বড় দল এবং অতীতে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে, ভবিষ্যতেও রাষ্ট্র পরিচালনায় আসবে তাই দলের নেতাকর্মীদের অবশই বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে দলকে এগিয়ে নিতে হবে। যে কোন হটকারী সিদ্ধান্ত শুধু দলকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, দেশের ভীষণ ক্ষতিও করতে পারে। বর্তমানে সরকার ও সরকারী দল যদি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সংলাপে বসতে চায়, তবে তা হবে দেশ ও জাতির জন্য এক ভয়াবহ নজির। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে তাহলে আবারও এ ধরণের সহিংস আন্দোলন শুরু করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে শুধু তাই নয়, জামায়াত-শিবির তাদের নেতাদের মুক্তির জন্য সারাদেশে ককটেল, বোমা আর বাসে আগুন দিয়ে যে কোন দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করার সুযোগ পাবে। সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোন সংলাপ চলে না। আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী দিয়েই কঠোর হাতে দমন করতে হবে। বিপ্লব, ফরিদপুর [email protected]
×