ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রুবেলের জন্য হ্যাপির আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৩ মার্চ ২০১৫

রুবেলের জন্য হ্যাপির আত্মহত্যার চেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেলকে না পাওয়ার কষ্টে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপি। গত বুধবার রাতে ওই চেষ্টার আগে নিজের ফেসবুক পেজে এবং পরে সাংবাদিকদের কাছে একথা স্বীকারও করেছেন তিনি। হ্যাপি বর্তমানে মিরপুরের বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন। চিকিৎসকরা সে বাসায় গিয়ে তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। অসুস্থ হয়ে পড়ায় বুধবার রাতে হ্যাপিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ বোধ করায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বাসায় নিয়ে যায় স্বজনেরা। হ্যাপীর পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, বুধবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এখন তিনি বেশ সুস্থ আছেন। দেশের মানুষের কাছে দোয়া চেয়েছে হ্যাপির পরিবার। হ্যাপির পরিবারের বরাত দিয়ে সূত্রটি আরও জানায়, মানসিকভাবে বিক্ষিপ্ত থাকায় হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন হ্যাপি। সুস্থতার জন্য গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে তার পরিবার। তবে আত্মহত্যার চেষ্টা প্রসঙ্গে হ্যাপী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, যে জীবনে রুবেলকেই পেলাম না সে জীবন আর রেখে লাভ কি? তাই আমি নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেন পারলাম না তা বুঝে আসে না। তিনি বলেন, আমার জীবনের চেয়েও রুবেলের জীবন অনেক মূল্যবান। রুবেল আমার জীবন থেকে অনেক দূরে। আমি তাকে আর দেখতে চাই না। তাই নিজের জীবনকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম। হ্যাপি বলেন, বাবা-মার চেয়েও রুবেলকে বেশি ভালবাসতাম। কিন্তু রুবেল বুঝল না। আর এ কারণে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে হ্যাপি লেখেন- “আমি বড় দুর্ভাগা, শেষ কথাটাও তোমাকে বলতে পারলাম না। অনেক ভালবাসি বাবু। কোন ভুল করলে মাফ করে দিও। আম্মু, আব্বু তোমরাও মাফ করে দিও। আমি তোমাদের যোগ্য সন্তান হতে পারলাম না। আমার জন্য অনেক কষ্ট করেছ তোমরা- এর ঋণ শোধ করা সম্ভব না। এটাই আমার শেষ স্ট্যাটাস। বাবু তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করবে এটা দেখা আমার পক্ষে সম্ভব হলো না।” প্রসঙ্গত, চলতি বছর জানুয়ারিতে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচনায় আসেন নবাগতা চিত্রনায়িকা হ্যাপি। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে মিরপুর থানায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন হ্যাপি। সে মামলায় রুবেলকে কারাগারেও যেতে হয়। পরে জামিনে বেরিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যান রুবেল। এরপরও রুবেলের জামিন বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছিলেন হ্যাপি। আগামী ৫ এপ্রিল ওই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে রুবেলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর গত মঙ্গলবার ১০ মার্চ সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে হ্যাপির মামলা পরিচালনা থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। হ্যাপিও ওই দিন রুবেলের বিরুদ্ধে তার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
×