ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্পের প্রদর্শনী শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১৩ মার্চ ২০১৫

নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্পের প্রদর্শনী শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে তিন দিনের সৌর-নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও স্থাপত্য-অবকাঠামো নির্মাণ শিল্প প্রযুক্তি প্রদর্শনী। প্রদর্শনী চলবে শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনী বিষয়ে এক্সপোনেট এক্সিবিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল হক জানান, এবারের প্রদর্শনীতে যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারত, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ ও বিশ্বের সর্ববৃহৎ জেনারেটর ও ট্রান্সফর্মার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাটারপিলার, কামিন্স, পারকিন্স, ক্রিলসকার, মিতসুবিশি, স্টামফোর্ড, মারকন, ক্রস ওয়ার্ল্ড গ্রুপ, বাংলা ক্যাট, ডানা গ্রুপ, জ্যাকসন ইন্ডিয়া, এনার্জি প্যাক, সোলার প্যানেল ও এলইডি লাইট নিয়ে ইয়াংলি সোলার, প্রতিভো, সেনোওয়ার, স্কাইসেড, হাইবারজেন, চাইনাল্যান্ড ও সোলারল্যান্ড, জিটিএস গ্রুপসহ ৯০টি প্রতিষ্ঠান ১৫০টি স্টলে বিদ্যুত সাশ্রয়ী ইন্ডাস্ট্রিয়াল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, পরিবেশবান্ধব বাথরুম ফিটিংস, হিট কন্ট্রোল প্রযুক্তি ও কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ও বিল্ডিং অটোমেশনসহ বিদ্যুত ও নির্মাণশিল্পের উদ্ভাবিত আধুনিক মেশিনারিজ প্রদর্শন করছে। অন্যদিকে এক্সপোনেট এক্সিবিশন প্রা. লিমিটেডের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক ষষ্ঠ সোলারটেক, পঞ্চম আন্তর্জাতিক পাওয়ারটেক ও চতুর্থ আন্তর্জাতিক গ্রীনবিল্ড বাংলাদেশ প্রদর্শনীর পাশাপাশি আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যুত, জ্বালানি ও নির্মাণ খাতে দেশী-বিদেশী প্রায় ৭০০ শিল্পোদ্যোক্তা, টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ, সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রকৌশলী, স্থপতি, দাতা সংস্থাগুলোর স্থানীয় কর্মকর্তা ও অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই বিনিয়োগের ওপর গ্রীন ইনভেস্টমেন্ট সামিট। রাশেদুল হক আরও জানান, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশীয় উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টেকনিক্যাল বিভাগগুলো তাদের সনাতন কারখানাগুলোকে অতি দ্রুত আধুনিকায়নের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হতে পারবে। ফলে বিদ্যুত সাশ্রয়, শ্রমিক ব্যয় হ্রাস ও দ্রুত পণ্য উৎপাদন করে প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে নিজেদের বাজার বিস্তার করতে পারবে। তিনি বলেন, স্থানীয় কারখানাগুলোকে বিদ্যুত সাশ্রয়ী আধুনিক যন্ত্রাংশের আওতায় আনতে পারলে জাতীয় গ্রিড হতে এখনই ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুত সাশ্রয় করা সম্ভব, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪ হাজার কোটি টাকার অধিক। এছাড়াও কারখানাগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
×