ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক উধাও

প্রকাশিত: ০৪:৫১, ১৪ মার্চ ২০১৫

রাজশাহীতে পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারক উধাও

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পাঁচশতাধিক গ্রাহকের অন্তত ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে রাজশাহী তানোরের মু-ুমালায় অবস্থিত অর্থলগ্নি আল সাদান সেভিংস এ্যান্ড কমার্স লিমিটেড নামের বেসরকারী সংস্থা। এ নিয়ে গ্রহকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। গ্রাহকরা জানায়, তিন বছর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি নিজেকে আল-সাদান সেভিংস এ্যান্ড কমার্স লি.-এর প্রতিষ্ঠাতা ও এমডি পরিচয় দিয়ে মু-ুমালা বাজারে দ্বিতল ভবনের এক ইউনিট ভাড়া নিয়ে শাখা অফিস গড়ে তুলেন। বিভিন্ন গ্রামে ও বাজারে নানা সুবিধায় ঋণ দেয়া হবে বলে সদস্য প্রতি সপ্তাহে ৫০ টাকা করে আমানত সংগ্রহ করে। প্রথম দিকে ১০ থেকে ১২ জন সদস্যকে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ দেয়। তাদের ঋণসুবিধা দেখে ক্রমেই বাড়তে থাকে সদস্য। তবে অনেকে জামানত জমা দিয়েও আর ঋণ পায়নি। গ্রহকরা জানান, এমডি আব্দুল মতিন তানোরের মু-ুমালা ছাডাও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরামবাগ, শান্তির মোড়, আমনুরার শিমুলতলা, শিবগঞ্জ বাজার, ও রামচন্দ্রপুর হাটে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শাখা খোলে। সব শাখায় নিয়োগ দেয়া হয় স্থানীয় ক্যাশিয়ার। তার মাধ্যমেই সপ্তাহে চলছিল আমানত সংগ্রহের কাজ। মু-ুমালা শাখার কথিত ক্যাশিয়ার নাজমুল হক বলেন, সদস্যদের আমানতের টাকা প্রতিসপ্তাহে তুলে তিনি এমডি আব্দুল মতিনের হাতে দিতেন। এখন নিজেও প্রতারণার বিষয়টা বুঝতে পারছেন বলে জানান। প্রতারণার শিকার তানোরের হরিশপুর গ্রামের শিমুল জানান, ৬ মাস আগে অটোরিকশা নেয়ার জন্য ৭০ হাজার টাকা অফিসের লোকজনের কথায় জমা দেন। এতে তিনি অটোরিকশা পেলেও সপ্তাহে ২৫শ’ টাকা করে কিস্তি পরিশোধ করে এখন পর্যন্ত তার জমা দেখানো হয়েছে মাত্র এক লাখ ৯ হাজার টাকা। তার কিস্তির টাকাও আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের মারুফ অটোশোরুমের ম্যানেজার মুকুল ইসলাম হঠাৎ এসে মু-ুমালা শাখা ক্যাশিয়ারের কাছে অটোরিকশার দাম দাবি করেন। প্রেক্ষিতে ক্যাশিয়ার গ্রাহক শিমুলকে অটোরিকশা নিয়ে অফিসে আসতে বলে। শিমুল বলেন, ক্যাশিয়ারের কথামত অটো নিয়ে অফিসে আসলে তার কাছে থেকে জোর করে চাবি কেড়ে শোরুম ম্যানেজারের হাতে তুলে দেয়। জানা গেছে শোরুম থেকে অটোরিকশা নিলেও ওই প্রতিষ্ঠান সেখানে টাকা পরিশোধ করেনি। এ বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। বৃহস্পতিবার ওই সংস্থার কার্যালয় ঘেরাও করেন। তবে তার আগেই পালিয়ে যায় কথিত এমডি। গ্রাহকরা এখন তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে।
×