ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশন্সে সিআইএ পরিচালক ব্রেনান

বিশ্বে উত্তেজনার কেন্দ্র পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৫ মার্চ ২০১৫

বিশ্বে উত্তেজনার কেন্দ্র পাকিস্তান

ইরাক, সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার পাশাপাশি পাকিস্তানকে বিশ্বে উত্তেজনার একটি কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ বলেছে, এ দেশগুলো নীতিনির্ধারকদের জন্য তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। খবর জি নিউজ ও ন্যাশন অনলাইনের। ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এখন নীতিনির্ধারক মহল ও আমাদের এজেন্সির প্রতি তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে’Ñ কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশন্সে সিআইএর পরিচালক জন ব্র্রেনান এ কথা বলেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, আফগানিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও পাকিস্তানের নাম বলেছেন। তিনি বলেছেন, সংঘাতের এসব কেন্দ্রের ওপর নজরদারি করা ছাড়াও আমাদের বিশ্লেষকরা সামগ্রিক বৈশ্বিক প্রবণতার দিকে নজর রাখছেন। সিআইএ প্রধান তাঁর বক্তব্যে গত বছর পাকিস্তানের পেশোয়ারে সন্ত্রাসী হামলার কথাও উল্লেখ করেছেন। সিআইএ প্রধানরা সাধারণত প্রকাশ্যে এভাবে বক্তব্য রাখেন না। পেশোয়ার হত্যাকা-ের কথা উল্লেখ করে ব্রেনান বলেন, জঙ্গী তৎপরতা একটি অস্বাভাবিক প্রবণতা নির্দেশ করে। তাদের তৎপরতা এখন বিকেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। এতে এদের কর্মকা- নজরদারি করা বা সন্ত্রাসী আক্রমণ রুখে দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর আমরা দেখতে পাচ্ছি কোন নির্দিষ্ট জায়গায় অস্থিতিশীলতা সীমাবদ্ধ থাকছে না, যে কোন জায়গায় ছড়িয়ে যাচ্ছে এটা। ১৯৬০-এর দশকে আফ্রিকার দেশগুলো ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তিলাভের পর ঠিক যেমনটা হয়েছিল। অনিয়মিতভাবে অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ায় মানবিক ও অন্যান্য সঙ্কটেরও বিস্তার ঘটছে। যেমন এর ফলে মানবিক সঙ্কট যেমন বাড়ছে তেমনি বেড়ে চলেছে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা ভূখ-ের পরিমাণ। এসব চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করে চলেছি। আমরা এটি করে চলেছি বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে একটি কার্যকর নেটওয়ার্ক ধরে রাখার মাধ্যমে।’ ব্রেনান বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাকিস্তানে জঙ্গী আস্তানায় বিমান হামলা, নিহত ৪৮ পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জঙ্গীদের সন্দেহজনক আস্তানায় শুক্রবার জঙ্গী বিমানের বোমা বর্ষণে অন্তত ৪৮ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে। খাইবার এজেন্সিতে প্রত্যন্ত টাইরাহ উপত্যকায় এ বিমান হামলা চালানো হয়। আফগান সীমান্তে উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে জার্ব-ই-আজব অভিযান শুরু হওয়ার পর পার্বত্য এলাকার তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সন্ত্রাসী ও জঙ্গীরা আস্তানা গেড়েছে এ টাইরাহ উপত্যকায়। আইএসপিআর এক বিবৃতিতে বলেছে, নতুন করে চালানো এ বিমান হামলায় ৪৮ সন্দেহভাজন জঙ্গী নিহত হয়েছে এবং কয়েকটি গোপন আস্তানা ধ্বংস হয়েছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ ও বিমানবাহিনী প্রধান মার্শাল তাহির রফিক বাটের উত্তর- ওয়াজিরিস্তান সফরের মাত্র একদিন পর পাকিস্তান বিমানবাহিনীর (পিএএফ) জঙ্গী বিমান থেকে এ হামলা চালানো হয়। জেনারেল রাহিল শরিফ তাঁর এ সফরের সময় স্থল অভিযানের সঙ্গে বিমান শক্তি ব্যবহারের ফলপ্রসূতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসীদের ধাওয়া এবং আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
×