ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সৌরজগতের দুই গ্রহের চাঁদে পানির সন্ধান

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ১৫ মার্চ ২০১৫

সৌরজগতের দুই গ্রহের চাঁদে পানির সন্ধান

বহির্বিশ্বে প্রাণের সন্ধান অনেক আগেই শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা। টেলিস্কোপে চোখ রেখেছে সৌরজগতের বাইরেও। একই সপ্তাহে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই গবেষক দল দাবি করেছে, সৌরজগতের দু-দুটি উপগ্রহে পানির অস্তিত্ব রয়েছে। এক- বৃহস্পতির উপগ্রহ গ্যানিমিডে। আর দুইÑ শনির উপগ্রহ এনসেলাডাসে। গ্যানিমিডের খবরটা এনেছে নাসার দূরবীক্ষণ যন্ত্র হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। হাবলের দেয়া তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে জার্মানির কোলোন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গ্যানিমিডের পৃষ্ঠে বরফের চাদরের তলায় লুকিয়ে রয়েছে নোনা জলের ভা-ার। যেখানে প্রাণের অস্তিত্বও থাকতে পারে। গবেষকদের আরও অনুমান, এত বড় সমুদ্র হয়ত পৃথিবীতেও নেই। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য জার্নাল অব জিওফিজিক্যাল রিসার্চ : স্পেস ফিজিক্স’-এ। গ্যানিমিড সৌরজগতের সবচেয়ে বড় উপগ্রহ। নাসার নভোযান গ্যালিলিও ১৯৯৫ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত গবেষণায় গ্যানিমিডে মহাসাগরের অস্তিত্ব থাকার ইঙ্গিত দিয়েছিল। ইউরোপীয় গবেষকেরা গ্যানিমিডে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি রোবটযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন। এর কয়েক দিন আগে বিজ্ঞানবিষয়ক পত্রিকা ‘নেচার’এ যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, শনির উপগ্রহ এনসেলাডাসেও পানি থাকতে পারে। তাঁরা বলেছেন, এমন কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে, যাতে পরিষ্কার, এনসেলাডাসে বেশ কিছু হাইড্রোথার্মাল ভেন্ট রয়েছে। এই প্রকোষ্ঠগুলোর তাপমাত্রা ৯০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের আশপাশে। পৃথিবী ছাড়া একমাত্র এনসেলাডাসেই এমন অংশ রয়েছে, যেখানে অনবরত পাথরের সঙ্গে উত্তপ্ত জলরাশির রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়ে চলেছে। নাসার গ্রহবিশেষজ্ঞ পি ম্যাককি বলেছেন, বছরের পর বছর লালগ্রহ মঙ্গলের পেছনে ছুটে বেরিয়ে তেমন কিছুই মিলল না। স্রেফ মৃত একটা গ্রহ। এখন সৌরজগতের শেষপ্রান্তে দেখা যাচ্ছে পানি রয়েছে। এই আবিষ্কারকে বিস্ময় বললে অনেক কম বলা হবে! -আনন্দবাজার পত্রিকা।
×