ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিড়ম্বনায় রোগী

ফিল্ম না থাকায় রমেক রেডিওলজি বিভাগ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৬ মার্চ ২০১৫

ফিল্ম না থাকায় রমেক  রেডিওলজি বিভাগ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর ॥ শুধু ফিল্মের অভাবে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্পর্শকাতর রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগটি গত ১০ দিন ধরে কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে। একমাত্র ম্যানুয়াল এক্সরে ছাড়া আর কোন চিকিৎসা সেবাই দেয়া সম্ভব হচ্ছে না রোগীদের। ফলে অনিশ্চিত জীবন নিয়ে প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে এখানকার রোগী ও অভিভাবকদের। কর্তৃপক্ষ বলছেন, তাঁরা চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন, তবে কবে নাগাদ এ বাবদ অর্থ বরাদ্দ দেবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ তা নিয়ে সন্দিহান নিজেরাও। মূলত মানব দেহের মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় ¯œায়ুতন্ত্র নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য সিটিস্ক্যান, এমআরআই এবং ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল এক্সরে করাই রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের কাজ। আর এ সবকিছু সম্পন্ন করতেই প্রয়োজন বিশেষ এক ধরনের ফিল্মের। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনা এবং ফিল্ম সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছেন এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা সাধারণ রোগী ও অভিভাবকরা। যেখানে সরকারী এই হাসপাতালে নামমাত্র মূল্যে চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হতো, কিন্তু বর্তমান এই অচলাবস্থার কারণে সাধারণ ও দরিদ্র রোগীদের এখন এসবের জন্য যেতে হচ্ছে বাইরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। নগরীর গুপ্তপাড়া এলাকার পরিমল পাল জানালেন, তাঁর স্ত্রী জটিল রোগে আক্রান্ত। তাকে নিয়ে তিনি ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসা করিয়ে অনেকটাই অর্থ কষ্টের মুখে পড়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক তাকে নতুন করে সিটিস্ক্যান করার জন্য বললে তিনি হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারেন ফিল্ম না থাকার কারণে প্রায় ১০দিন ধরে সিটি স্ক্যানসহ এমআরআই এবং ডিজিটাল এক্সরের কাজ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। হাসপাতালে যেখানে দুই হাজার টাকায় এই কাজটি করা সম্ভব, বাইরে সেটি করতে তার খরচ হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। একই অবস্থা এমআরআইয়ের ক্ষেত্রেও। পঞ্চগড় থেকে আসা রোগী রোখসানা পারভীন জানালেন, চিকিৎসকরা তাকে এমআরআই করাতে বললে তিনি রংপুর মেডিক্যালে আসেন। কিন্তু এখানে না পেয়ে তাকে বাড়তি সাত হাজার টাকা দিয়ে এ কাজ করতে হয়েছে বাইরের ক্লিনিকে।
×