ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজার কাস্টমসে নিলামের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৬:৫১, ১৭ মার্চ ২০১৫

কক্সবাজার কাস্টমসে নিলামের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কাস্টম্স এক্সাইজ ও ভ্যাট কক্সবাজার বিভাগীয় সদর শুল্ক গুদামে রক্ষিত আটকপণ্য নিলামে বিক্রি বাবদ লাখ লাখ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না করে আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিলামকৃত বিভিন্ন লট নম্বরের বিপরীতে নিলামে সর্বোচ্চ ডাককারীর নাম ঠিকানা এবং টাকার সংখ্যা সবকিছু ঠিক থাকলেও কিন্তু ওইসব টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার ট্রেজারি চালান শুল্ক গুদামে নেই বলে জানা গেছে। সরকারী নিয়ম অনুসারে কাস্টমস, পুলিশ ও বিজিবি কর্তৃক মিয়ানমার থেকে অবৈধ পথে আসা লাখ লাখ টাকা মূল্যের আটককৃত পণ্য জমা করেছে কক্সবাজার সদর শুল্ক গুদামে। পরবর্তীতে সীল টেন্ডারের মাধ্যমে ওইসব পণ্যাদি নিলামে বিক্রি করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে দায়িত্বরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম ও সুদীপ্ত শেখর দাশ নিলামে বিক্রিকৃত পণ্যের লাখ লাখ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা না করে আত্মসাত করেছে। গত ২০১২-১৩ এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এ ধরনের পুকুর চুরি কর্মকা-ের সঙ্গে অন্তত ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত রয়েছে বলে তথ্য মিলেছে। এছাড়াও বিজিবির আটক প্রতিবেদনে জব্দকৃত পণ্যের সঠিকভাবে সীল দস্তখত করে দেয়া হলেও কাস্টম গুদামের ফাইলে রাখা কপিতে ফ্রুইট ব্যবহার করে জালিয়াতি করে সরকারকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এসব জালিয়াতির ঘটনার বিষয় নিয়ে কক্সবাজার কাস্টমের বিভাগীয় কার্যালয়ে কানাঘুষা শুরু হলে শুল্ক গুদামের দায়িত্বে নিয়োজিত দুর্নীতি পরায়ণ কর্মকর্তা ট্রেজারি চালান সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি আরও জানায়, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে সোনালী ব্যাংক থেকে কিছু কিছু চালান সংগ্রহ করে নিতে সক্ষম হলেও বেশিরভাগ চালান এখনও জোগাড় করা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কক্সবাজার সোনালী ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোপূর্বে ব্যাংকে জমাকৃত ট্রেজারি চালানের কপিগুলো হারিয়ে গেছে মর্মে কাস্টম থেকে একজন কর্মকর্তা এসে ওইসব কপি সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়েছে। বিজিবি’র জমা দেয়া বিভিন্ন পণ্যের আটক প্রতিবেদনের সঙ্গে ঘষামাজা করা সিজার লিস্টের রেকর্ডপত্রগুলো দুর্নীতিপরায়ণ কতিপয় সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (কাস্টম) কৌশলে সরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছে বলে সূত্রটি আভাস দিয়েছে। এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর শুল্ক গুদামে দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোঃ আজহারুল ইসলাম অভিযোগটি উদ্ভট কথাবার্তা বলে দাবি করে জনকণ্ঠকে বলেন, নিলামে অংশগ্রহণকারী তথা সর্বোচ্চ ডাককারী ব্যক্তি নিজেই ব্যাংকে ট্রেজারি চালান জমা দিয়ে নিলামকৃত পণ্য ডেলিভারি নিয়ে যায়। নাশকতার আশঙ্কায় দিনাজপুরে দুই মাস ধরে ডেম্যু ট্রেন চলাচল বন্ধ স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ অবরোধ ও হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর-ঠাকুরগাঁও ও পার্বতীপুর-লালমনিরহাট রেলপথে গত দুই মাস ধরে ডেমু ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের প্রথম দিন থেকে অর্থাৎ গত ৫ জানুয়ারি থেকে এই ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে অন্যান্য যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বন্ধ রাখা ডেমু ট্রেন পার্বতীপুর রেলওয়ে লোকো সেডে নিরাপদে রাখা হয়েছে। গত দুই মাস ধরে ডেম্যু ট্রেন বন্ধ থাকায় এই ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ পেলেই ট্রেন আবারও যথারীতি চলাচল করবে। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি এ কে এম লুৎফর রহমান জানান, পুলিশি তৎপরতার কারণে এ পর্যন্ত এই এলাকায় নাশকতামূলক কোন কর্মকা- সংঘটিত হয়নি।
×