ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈশ্বরদী ইপিজেডে এমজিএল কোম্পানির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২১ মার্চ ২০১৫

ঈশ্বরদী ইপিজেডে এমজিএল কোম্পানির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদী ইপিজেডে চীনের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রকার সিনথেটিক চুল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এমজিএল-১ ও এমজিএল-২তে বিভিন্ন অনিয়ম করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শ্রমিকদের কাজ করানোর পরিবর্তে ১/২ ঘণ্টা অতিরিক্ত কাজ করিয়ে প্রাপ্য মজুরি দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এমজিএল-২-এর জিএম বাকের বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগ দেন বলে অভিযোগ। এইচআর এডমিন ফারহানার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ। সম্প্রতি বন্ধ হওয়া রাশিতা ও মেগাটেক্স কোম্পানির কালো তালিকাভুক্তরা নিয়োগ পেয়ে এমজিএল এ এসব অনিয়ম করছে। ইপিজেড কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দেয়ার পরও কোন কাজ হয়নি। কোম্পানির ফ্যাক্টরিতে কর্মরত শ্রমিক ও ইপিজেড এলাকার ভুক্তভোগী কর্তৃক সাংবাদিকদের দেয়া অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, ২০১৩ সালের ১৫ মে ঈশ্বরদী ইপিজেডে এমজিএল-১ ও এমজিএল-২ তে উৎপাদন শুরু হয়। বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানিনির্ভর প্রতিষ্ঠান দু’টিতে প্রায় ১২শ’ শ্রমিক কর্মরত । চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি করে প্রথমে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। পরে তৈরি করা হয় বিভিন্ন প্রকার সিনথেটিক চুল। উৎপাদিত পণ্য আফ্রিকা, জার্মান ওয়েস্ট-ইন্ডিজে রফতানি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠান দু’টিতে কর্মরত শতকরা ৪৮ ভাগ শিক্ষানবিস শ্রমিক ও ৫২ ভাগ স্থায়ী শ্রমিক কাজ করে। গত দু’মাস থেকে শ্রমিকদের দিয়ে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা বা রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করানো হয়। নিয়মানুযায়ী অতিরিক্ত সময়ের মজুরি দেয়া হয় না। এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানের এইচআর এডমিন ম্যানেজার হাসান মাহমুদ জনকণ্ঠকে বলেন, ইপিজেডের নিয়মের বাইরে শ্রমিকদের অতিরিক্ত বেতন দেয়া হয়। ৬ মাস শিক্ষানবিস হিসাবে কাজ করার পর শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, এমজিএল-২-এর জিএম বাকের এবং এইচআর এডমিন ফারহানা বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগও সঠিক নয় বলে দাবি করেন।
×