ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গণতান্ত্রিক সংস্কার অব্যাহত থাকবে

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২১ মার্চ ২০১৫

গণতান্ত্রিক সংস্কার  অব্যাহত থাকবে

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংস্কারে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অব্যাহত রাখবে, বলেছেন দেশের প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। খবর বিবিসি অনলাইনের। প্রেসিডেন্ট রাজধানী নেপিডোয় বিবিসিকে বলেন, সামরিক বাহিনী গণতান্ত্রিক সংস্কার শুরু করেছে। কিন্তু মিয়ানমারবাসীর রাজনৈতিক জীবনে সামরিক বাহিনীর কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা হ্রাসে কোন সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি। থেইন সেইনের চার বছরের শাসনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এলেও সেনাবাহিনীর প্রভাব হ্রাস পায়নি এতটুকু। পার্লামেন্টে তারা এক-চতুর্থাংশ আসন দখল করে রেখেছেন এখনও। শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তনে তাদের রয়েছে ভেটো ক্ষমতা এবং যে কোন সময় তারা সরাসরিভাবে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে পারেন। বিবিসি সাংবাদিক বলেন, ৪৫ মিনিটের এ সাক্ষাতকারে আমার প্রত্যাশা ছিল, প্রেসিডেন্ট তার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলবেন। কারণ, তিনি এখন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং একজন সংস্কারক হিসেবে খ্যাতি রয়েছে তার। আমি ভেবেছিলাম তিনি বলবেন যে, বর্মী সেনাবাহিনীকে নিজেদের অবস্থানে ফিরে যাওয়ার জন্য এবং বেসামরিক নেতৃত্বের কাছে দেশের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়ার জন্য তাদের ক্রমান্বয়ে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করবেন তিনি। কিন্তু তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাজনীতিতে জড়িত সামরিক বাহিনীর থাকার প্রয়োজন রয়েছে এখনও। এ ব্যাপারে আমার কাছে প্রবল যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, এটা সত্য নয় যে, সামরিক বাহিনীর কারণে সংস্কার থেমে আছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, সামরিক বাহিনীর দুটো দায়িত্ব রয়েছে। একটি হচ্ছেÑ যুদকালীন দেশের জন্য লড়াই করা এবং অন্যটি হচ্ছে, যুদ্ধ না থাকলে জনগণের স্বার্থে সেবা প্রদান করা। জনগণের স্বার্থে সেবা মানে জাতীয় রাজনীতিতে জড়িত থাকা। ৬৯ বছর বয়স্ক প্রেসিডেন্ট মনে করেন, একনায়কতন্ত্র থেকে উত্তরণ উদ্যোগে সেনাবাহিনীর একটা প্রয়োজনীয় ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, বস্তুত, সামরিক বাহিনী একটা শক্তি, যারা আমাদের দেশে গণতন্ত্র সমৃদ্ধিতে সহযোগিতা করছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও চর্চায় পরিপক্ক হয়ে উঠতে থাকায় সামরিক বাহিনীর ভূমিকার পরিবর্তন হচ্ছে ক্রমেই। প্রেসিডেন্ট সামরিক বাহিনীর রাজনৈতিক ভূমিকা হ্রাসের ব্যাপারে কোন সময় কাঠামো উল্লেখ করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তা হবে ধীরগতিতে এবং জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে তাল রেখে। প্রেসিডেন্ট পুরো সময় বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি পুরো সমর্থন রয়েছে জনগণের। এবং তাই সেনাবাহিনী সব সময়ই কাজ করবে জাতীয় স্বার্থে।
×