ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি অবসরকালীন সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২১ মার্চ ২০১৫

শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি অবসরকালীন সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি, কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে দেশে দরিদ্র ও জনবান্ধব করনীতি চালু করতে হবে। সরকার গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করে ৫,৩০০ টাকা নির্ধারণ করলেও এখনও অনেক কারখানার মালিক এর শতভাগ বাস্তবায়ন করেননি। শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে; তাই প্রত্যেক খাতের শ্রমিকদের মতামত নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) ও স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে ‘কর ন্যায্যতা নিশ্চিত কর, উন্নয়নের সোপান গড়’ শীর্ষক শ্রমিক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ইস্রাফিল আলম এমপি বলেন, কর বা রাজস্ব নিয়ে আমাদের দেশের খুব কম মানুষই চিন্তা-ভাবনা করেন। বর্তমানে বাজেট প্রণয়নে পরনির্ভরশীলতা কমে আসছে। দিন দিন বিদেশী সাহায্যের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমছে। দেশের অভ্যন্তরীণ খাত থেকে আমরা বাজেট বরাদ্দ দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। তবে দেশের ১৮ লাখ মানুষ করের আওতায় থাকলেও এর মোটা অংশটিই কর দেয় না। সভ্যতার উন্নয়নের জন্য কর প্রদান সম্পর্কে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে সুপ্রের নির্বাহী পরিষদের সদস্য ডেইজি আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার সুবিধা বঞ্চিত কৃষক ও শ্রমিকদের সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করে ৫,৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও অনেক কারখানার মালিক এর শতভাগ বাস্তবায়ন করেননি। সরকার তৈরি পোশাক খাতের রফতানির ওপর অগ্রিম আয়কর ০.৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ০.৩০ শতাংশ, ফ্লাক্স ফাইবার ও কৃত্রিম স্টাপল ফাইবার এর আমদানি শুল্কে যথাক্রমে ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করেছে।
×