ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘চেয়ারম্যান মোর টাহা না দেয়াতে মুই পুতেরে বাঁচাইতে পারি নাই’

প্রকাশিত: ০৬:১২, ২১ মার্চ ২০১৫

‘চেয়ারম্যান মোর টাহা না দেয়াতে মুই পুতেরে বাঁচাইতে পারি নাই’

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২০ মার্চ ॥ “মোগো চেয়ারম্যান মোরে গ্রাম পুলিশে চাকরি দেয়ার কতা কইয়্যা দেড় লাখ টাহা নেয়। হে মোরে চাকরি দেয় নাই। পুতের চিকিৎসার জন্য ওই টাহা চাইতে গ্যালে হে টাহা না দিয়া মোরে মারধর হরে”। মুই টাহার অভাবে পুতের চিকিৎসা হরাইতে পারি নাই। আইজ (শুক্রবার) হাসপাতালে মোর পোলা মারা গ্যাছে”। এ কথা বলেন, বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের হতভাগ্য বাবা রুহুল আমিন (২৮)। জানা গেছে, ২৭ অক্টোবর ২০১৩ তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে রুহুল আমিনের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান দেড় লাখ টাকা উৎকোচ নেয়। ওই পদে তাকে নিয়োগ না দিয়ে মহসিন কাজীকে নিয়োগ দেয়। চেয়ারম্যান রুহুল আমিনকে এ টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। মঙ্গলবার রুহুল আমিনের তিন মাসের শিশু পুত্র অলি উল্লাহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। ওই দিন শিশুপূত্রকে মুমূর্ষু অবস্থায় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেয়। ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে রুহুল আমিন ও তার আত্মীয় আনোয়ার তালুকদারকে মারধর করেন। শিশু অলি উল্লাহ উন্নত চিকিৎসা অভাবে শুক্রবার সকালে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মাস্টার জানান, আমার কাছে কোন টাকা পাবে না। এ ব্যাপারে আমার আর কোন জবাব নেই। তবে মারধরের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য একটি ঘটনায় মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
×