ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ ॥ দুই পুলিশ স্প্লিন্টারবিদ্ধ ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২২ মার্চ ২০১৫

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ ॥ দুই পুলিশ স্প্লিন্টারবিদ্ধ ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে রাতে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দুই পুলিশ ও এক শসা বিক্রেতা স্পিøন্টারবিদ্ধ হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যকে পরে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। দৈনিক বাংলা মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণে নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক শসা বিক্রেতা আহত হয়েছে। পল্টনে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় তারা একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। শনিবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দৈনিক বাংলা মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন ট্রাফিকের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলাম (২৫) ও ট্রাফিক কনস্টেবল কামরুজ্জামান (৩৮)। মতিঝিল জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ শাহজাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দৈনিক বাংলা মোড়ে তারা কর্তব্যরত ছিল। এ সময় দুর্বৃত্তরা ছয়-সাতটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে এএসআই নজরুলের মাথায় ও কনস্টেবল কামরুজ্জামানের ডান পায়ে স্পিøন্টার বিদ্ধ হয়। একই সময় ঢাবির টিএসসির সামনে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে নজরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক শসা বিক্রেতার ডান পা ও ডান হাতে স্পিøন্টার বিদ্ধ হয়। পরে নজরুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আহত নজরুল জানান, তিনি টিএসসিতে শসা বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ কে বা কারা শসা বিক্রি করার সময় তাঁর ভ্যানের পেছনে ককটেল নিক্ষেপ করে। এর পৌনে এক ঘণ্টা পর রাত সোয়া আটটার দিকে পল্টনের খানা বাসমতি রেস্টুরেন্টের সামনে চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় অবরোধকারীরা। এ সময় তারা একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেয়। স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। পল্টন থানার উপ-পরির্দশক ওবায়দুর রহমান জানান, ওই হোটেলের সামনে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলেন মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ ফেনীর দাগনভূঞায় অবরোধকারীদের পেট্রোলবোমায় দগ্ধ ট্রাকচালক মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ খানকে (৬৭) বাঁচানো গেল না। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে দাগনভূঞায় দগ্ধ ইউসুফ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত ইউসুফ খানের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার জিয়াপুর গ্রামে। ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, ইউসুফের শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আগুনে শ্বাসনালী পুড়ে যায়। তিনি জানান, টানা সহিংসতায় অবরোধকারীদের পেট্রোলবোমায় দগ্ধ এ পর্যন্ত ১৬ জন বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন আছেন আরও ২৬। শুক্রবার ভোরে কুমিল্লার বুড়িচং থেকে ট্রাকভর্তি মাছ নিয়ে দাগনভূঞার মাতুভূঞা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে জামায়াত-বিএনপির অবরোধকারীরা ট্রাক লক্ষ্য করে পেট্রোল ছুড়ে মারে। এতে ট্রাকে আগুন ধরে যায়। এ সময় পাঁচজন দগ্ধ হন।
×