ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাশরাফিদের সংবর্ধনায় বিমানবন্দরে ভক্তের ঢল

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৩ মার্চ ২০১৫

মাশরাফিদের সংবর্ধনায় বিমানবন্দরে  ভক্তের ঢল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ শেষে রবিবার সন্ধ্যার পর দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। ভারতের কাছে হার সত্ত্বেও প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়া মাশরাফি বিন মর্তুজাদের এক নজর দেখতে ঢাকা বিমানবন্দরে ক্রিকেটপ্রেমীদের ঢল নামে। স্লোগান, ফুলের তোড়া, ফেস্টুন-ব্যানার নিয়ে হাজির হন তারা। সেখানে অনানুষ্ঠানিক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের ঘিরে ছিল উৎসবের আমেজ। দলকে সমর্থন দেয়ায় ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আপনাদের সমর্থন আর ভালবাসা ছিল বলেই আমরা ভাল কিছু নিয়ে ফিরতে পেরেছি। দলের সবার প্রচেষ্টায়ই এটা সম্ভব হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি কিছু দেয়ার চেষ্টা থাকবে।’ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘গত বছরটা আমাদের খুব ভাল কাটেনি। ভক্তরা তাই টেনশনে ছিলেন। তারা হয়ত বিশ্বাস করতে পারেননি, আমরা কোয়ার্টারে যেতে পারব। কোচ হাতুরাসিংহের তত্ত্বাবর্ধানে অনেক পরিশ্রম করেছি। সবাই সেরাটা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে।’ ব্যাটিং-বোলিংয়ে কাকে এগিয়ে রাখবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম দুজনকেই আমি এক শ’তে এক শ’ দেব। বোলিংয়ে রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদকে এগিয়ে রাখব।’ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পর দলের প্রত্যাশা বেশি ছিল। ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সেমিতে উঠে বিশ্বকে আরও একবার চমকে দেয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন ম্যাশ। তিনি বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডকে হারানো, নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার পর অনেকেই আশা করেছিলেন কোয়ার্টারে আমরা আরও ভাল করব। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে আমরা আসলে সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তার ওপর আম্পায়ারদের কয়েকটি সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে মাহমুদ্দুল্লাহর আউট, রোহিত শর্মাকে আউট না দেয়া- এসবই আমাদের বিপক্ষে গেছে। যা খেলার ছন্দপতন ঘটিয়েছে। আশা করি আপনাদের সমর্থন ভবিষ্যতে এই কষ্ট ভুলতে সাহায্য করবে।’ বিশ্বকাপে বাংলাদেশে প্রথম লক্ষ্য ছিল আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে পেছনে ফেলে শেষ আটে জায়গা করে নেয়া। সে কাজটি ভালমতোই করেন মাশরাফিরা। দুরন্ত নৈপুণ্যে ইংলিশদের বাড়ির টিকেট ধরিয়ে দেয় টাইগাররা। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ব্যাট হাতে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি হাঁকান মাহমুদুল্লাহ। টানা দুই সেঞ্চুরিতে দেশের হয়ে বিরল রেকর্ডও গড়েন তিনি। পাশাপাশি মুশফিকুর রহীমের ব্যাট ছিল ধারাবাহিক। বল হাতে রুবেলের গতি ও ছন্দ ছিল বিশ্বমানের। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে মনে রাখার মতো একটি বিশ্বকাপ শেষ করেই দেশে ফিরল মাশরাফি বাহিনী।
×