ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চাঁপাইয়ে মোটা ধানের ক্রেতা নেই

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৫ মার্চ ২০১৫

চাঁপাইয়ে মোটা ধানের ক্রেতা নেই

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ চাঁপাইনবাবগঞ্জে মোটা ধানের কোন পাইকার নেই। এমনকি সংসার খরচ চালানোর জন্য সাধারণ কৃষকের ২/১ মণ ধান বেচার প্রয়োজন হলে গ্রাহক খুঁজে পাচ্ছে না। পাশাপাশি ধানের মণ নেমে এসেছে পাঁচ শত টাকার নিচে। বড় বড় মহাজন জোতদার শ্রেণীর মানুষ এই অবস্থা মোকাবেলা করছে গচ্ছিত অর্থ দিয়ে। কিন্তু সাধারণ কৃষক, যারা মোটা ধান বিক্র করে সংসারের খুঁটিনাটি কিনে থাকে বা ছেলে মেয়েকে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ জুগিয়ে থাকে তারা এখন বেসামাল। কোনভাবেই ছেলেমেয়ের পড়ার উপকরণ কেনা বা বাইরে থাকার অর্থ যোগান দিতে না পারায় পড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ইতোমধ্যেই বহু কৃষক পরিবারের সন্তান লেখাপড়া ছেড়ে গ্রামে ফিরে বাবা মায়ের ঘরে অবস্থান নিয়েছে। এসব কৃষক পরিবার সন্তানের পড়াশোনা চালাবার কোন সংস্থান নেই। বিশেষ করে সাধারণ কৃষক ও মাঝারি জোতদাররা ফসল বলতে আমন ধান বিক্রি করে ছেলেমেয়ের পড়াশোনার যোগান দিয়ে থাকত। কিন্তু ধান বিক্রি করতে পারছে না, হরতাল অবরোধের কারণে কোন পাইকার বা ব্যাপারি ধান কিনতে না আসায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও অটোরাইস ও চাতাল মালিকরা কোন ধান কিনছে না। ব্যাপক লোকশানে দিশেহারা উদ্যোক্তারা। জেলায় চাল শিল্প বিশালভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। প্রায় অর্ধশত অটো রাইস মিলে উৎপাদন বন্ধ। কয়েক শত চাতাল মিল অনেক আগে থেকেই বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। আগের উৎপাদিত চাল গুদামে পাহাড় প্রমাণ মজুদ বাইরে পাঠাতে না পারায়। পাল্টে যাবে শহরের চেহারা কলাপাড়ায় উন্নয়ন প্রকল্প নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৩ মার্চ ॥ পাল্টে যাবে কলাপাড়া পৌরশহরের চেহারা। উন্নয়নের ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয়-বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৫৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা। উপকূলীয় কলাপাড়া পৌরসভার যাতাতায়াত, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ও বর্জ্য দ্রব্য ব্যবস্থাপনা, বৈদ্যুতিক সুবিধা এবং নাগরিক সুবিধা সম্প্রসারণে এ সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কলাপাড়া পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান জানান, পৌর শহরের ৫০ কিলোমিটার রাস্তা, ১০টি কার্লভার্ট ও একটি স্লুইসগেট নির্মাণ। ৪০ কিেিলামিটার ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ হচ্ছে একটি বাস টার্মিনাল ও মার্কেট , পঁচাটি পাবলিক টয়লেট, আটটি সাইক্লোন শেল্টার ও দুইটি বোট টার্মিনাল। এছাড়া পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনার জন্য ৪০ কিলোমিটার নতুন পানির লাইন সম্প্রসারণ হচ্ছে, নির্মাণ করা হচ্ছে সুউচ্চ দুইটি পানির আধার, দুইটি পাম্পহাউস ও সেড নির্মাণ হচ্ছে। সেইসঙ্গে উৎপাদক নলকূপ স্থাপন হচ্ছে চারটি। ক্রয় করা হচ্ছে চারটি জেনারেটর। গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে একশ’টি। ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণ হচ্ছে দুইটি। বৈদ্যুতিক লাইন সম্প্রসারণ হচ্ছে আরও সাত কিলোমিটার এলাকা। শহরের নিরাপত্তা এবং জনগণের নির্বিঘœ চলাচলসহ রাত্রিকালীন সৌন্দর্য বর্ধনে পাঁচশ’ সোলার স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হচ্ছে। উপকূলীয় শহর পরিবেশগত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এবছর এ সব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে পর্যটন শহর কলাপাড়ার চেহারা পাল্টে যাচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন মেয়রসহ কাউন্সিলরবৃন্দ। ইতোমধ্যে শহরের পুরানো অধিকাংশ সড়কগুলো মেরামত করা হয়েছে। প্রতিদিন চলছে সড়কের পরিচ্ছন্নতার কাজ।
×