ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশংসায় ভাসছেন ইলিয়ট

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৬ মার্চ ২০১৫

প্রশংসায় ভাসছেন ইলিয়ট

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ১২ রান। শেষ ওভারে সব দায়িত্ব তখন ডেল স্টেইনের কাঁধে। আর স্টেইনের মতো বোলারের পঞ্চম বলটিকে ছক্কা মেরে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডকে স্বপ্নের ফাইনালের টিকেট কেটে দেন গ্র্যান্ট ইলিয়ট। অন্যদিকে আরেকটি স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় ভাসমান তখন দক্ষিণ অফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত ৭৩ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করা সেই ইলিয়টই কিউদের জয়ের নায়ক। অথচ এই ইলিয়টের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়! আসলেই ক্রিকেট বড় রোমাঞ্চকর। তা প্রমাণিত হলো আরেকবার। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ে নিজের ভূমিকার চেয়ে দলীয় পারফর্মেন্সকেই এগিয়ে রাখছেন গ্র্যান্ট ইলিয়ট। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না যে এই জয় কেবল আমার জন্য কিংবা দলের জন্য। প্রকৃতপক্ষে সকলের প্রচেষ্টাতেই এই জয়। ম্যাচে সমর্থকরা আমাদের যেভাবে সমর্থন দিয়ে গেছেন তা সত্যিই বিস্ময়কর।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় গ্র্যান্ট ইলিয়ট এ সময় আরও বলেন, ‘গ্যালারিতে উপস্থিত হওয়া ৪৫ হাজার সমর্থকদের প্রত্যেকেই প্রতিটি বল করার সময়ই চিৎকার করে আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। আর এই সমর্থকদের সামনে খেলাটাই আমার সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। তাদের কারণেই আসলে আমরা ভাল খেলতে পেরেছি। এবং নিউজিল্যান্ড তার প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে।’ দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড-এমন প্রশংসাই করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। এমনটি মনে করছেন ভারতের সাবেক কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারও। সেইসঙ্গে গ্র্যান্ট ইলিয়টেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে এনডিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সুনীল গাভাস্কার বলেন, ‘ওরা (নিউজিল্যান্ড) চাপের মধ্যেও শান্ত ছিল, স্নায়ুর ওপর নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল। যা দক্ষিণ আফ্রিকা করতে পারেনি। তবে এটা ঠিক যে যোগ্য দল হিসেবেই নিউজিল্যান্ড ফাইনালে গেছে। কেননা গোটা টুর্নামেন্টে অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছে ওরা।’ একাদশতম বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠার দারুণ সুযোগ এসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। কিন্তু গাভাস্কারের কথায়, আরও একবার একটা ভাল সুযোগ হারাল তারা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু গ্র্যান্ট ইলিয়টের ক্যাচই পড়েনি, অনেক রান আউটেরও সুযোগ নষ্ট করেছে। স্নায়ুর যুদ্ধে হেরে গেল, যা ঘটেছে অতীতেও। তবে আমি মনে করি, এই টুর্নামেন্টে কিছুটা হলেও ওদের অগ্রগতি হয়েছে।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিতে পরাজয়ের পর ‘চোকার্স’ তকমাটা গায়েই থেকে গেল প্রোটিয়াদের। অথচ কী আশ্চর্য, সেই তকমা কাটিয়ে দিতে যে সাহায্য করলেন, সেই নিউজিল্যান্ডের গ্র্যান্ট ইলিয়টের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়! সেমিতে তার অসাধারণ পারফর্মেন্সের ভূয়সী প্রশংসা করে সুনীল গাভাস্কার বলেন, ৩০ ওভারের পর থেকে যেভাবে খেলল, সত্যিই অসাধারণ। মাথা ঠা-া রেখে ম্যাচ বের করে নিল সে।
×