ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উদাসীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা

অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে এমবি ফার্মার দর

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৭ মার্চ ২০১৫

অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে এমবি ফার্মার দর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুুঁজিবাজারে আবারও জাঙ্ক শেয়ারের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। বিশেষ করে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি এমবি ফার্মার শেয়ার দর গত এক মাসে অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে সংশ্লিষ্টরা সবাই উদাসীন। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ এভাবে অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়িয়ে সুযোগ সন্ধানীরা মুনাফা তোলার পরই হয়তো নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে আসবে। কিন্তু ততোদিনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়বেন। এদিকে বুধবারে কোম্পানির দর একদিনে অস্বাভাবিকভাবে আগের দিনের চেয়ে ১৩ টাকা বাড়ার পরে প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে কোম্পানিটিকে চিঠি পাঠানো হয়। যথারীতি গতানুগতিকভাবে কোম্পানি পক্ষ ডিএসইকে জানিয়ে দিয়েছে এই অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ার কোন কারণ নেই। জানা গেছে, শেয়ারটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার পেছনে কারণ জানতে চেয়ে মঙ্গলবার ডিএসই নোটিস পাঠায়। এর জবাবে কোম্পানিটি জানায়, কোনরকম মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারটির দর বাড়ছে। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ছয় কার্যদিবসের প্রতিদিনই শেয়ারটির দর ধারাবাহিকভাকে বেড়েছে। এ সময়ে শেয়ারটির দর ২৯৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ৩৬৮ টাকা হয়। অর্থাৎ শেয়ারটির দর বেড়েছে প্রায় ৭০ টাকা বা ২৩ শতাংশ। আর শেয়ারটির এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ। গত ৫২ সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২৩৬ টাকা থেকে ৩৭৮ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটি ১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির মোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ হলো ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালক বা উদ্যোক্তাদের কাছে ৬৬ দশমিক ৩১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মোট মুনাফার পরিমাণ ২৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আয়ের বা ইপিএসের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৫১ টাকা।
×