ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৮ মার্চ ২০১৫

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই

গত ১৪ মার্চ শনিবার জনকন্ঠের মতামত কলামে জনৈক হাফিজুর রহমানের লেখা পত্রে বলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী এখন বলছেন, লাল মুক্তি বার্তায় যারা আছেন, তারা পুনর্যাচাই-বাছাইয়ের বাইরে থাকবে। তবে এই তালিকার কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেছেন, এই তালিকার অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অর্থাৎ লাল মুক্তিবার্তাও বিতর্কিত? যদি তাই হয়, তাহলে এ পর্যন্ত প্রণীত সব তালিকা স্থগিত রেখে পুনর্যাচাই-বাছাই করলে বর্তমানে প্রণয়নতব্য তালিকাটি প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকবে না। উল্লেখ্য, এর আগে সিদ্ধান্ত ছিল আহাদ চৌধুরী ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরে প্রদত্ত সনদধারীরাও যাচাই-বাছাইয়ের বাইরে থাকবেন। নানা সমালোচনার মুখে জামুকা এটি পরিবর্তন করেছে। তারপর স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর জামুকা প্রণীত মুক্তিযোদ্ধার আজগুবি সংজ্ঞা প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেননি। এখন প্রশ্ন হলো, কিসের ওপর ভিত্তি করে যাচাই-বাছাই করা হবে? কি করলে, কাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হবে, তাই তো এখনও ঠিক হয়নি। প্রস্তাবিত সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল, যারা ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল কেবল তারাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য হবেন। এছাড়া আরও কয়েক ক্যাটাগরি যেমন মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী, খেলোয়াড়, শিল্পী, সাংবাদিকরাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ওই সময় বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে, মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠন করেছেন তাঁরা আর সংগঠক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না ইত্যাদি বহু বিতর্কিত বিষয় উল্লেখ করেছেন। অথচ লাল মুক্তি বার্তায়ও এসব ক্যাটাগরির বহু মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। এখন যদি মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী/ সংগঠকরা মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত করা না হয়, তাহলে তাদের প্রতি অবিচার করা হবে, যা কাক্সিক্ষত নয়। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কারও কাম্য নয়, আইনসঙ্গতও নয়। যাচাই-বাছাই করার আগে একটি গ্রহণযোগ্য নীতিমালা (মুক্তিযোদ্ধার ব্যাখ্যাসহ) প্রণয়ন করে মাঠ পর্যায়ে পাঠাতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে, এই নীতিমালা যেন পূর্বের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হয়। এক দেশে দুই নিয়মে যেন যাচাই করা না হয়। এই তালিকাও যদি কোন কারণে বিতর্কিত হয়, তা হবে জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। সেক্ষেত্রে পরবর্তী সরকার এই তালিকাও বাতিল করে দেবে, যা বিএনপি এখনই বলছেন। কাজেই বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকারের কাছে জনগণ এমন একটি মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রত্যাশা করে, যেখানে কোন ভুয়া/স্বাধীনতাবিরোধী ঠাঁই পাবে না। জাতি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যেন গর্ব করতে পারে, বর্তমান সরকার তেমন একটি নির্ভেজাল, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা উপহার দিয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মুহাম্মদ আরিফুর রহমান মোহাম্মদপুর ঢাকা। চিকিৎসা ব্যয় কমানো জরুরী জীবনের সুখ বা উন্নতিতে একান্ত সহায়ক শারীরিক সুস্থতা। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় অর্থ ব্যয় করার ক্ষমতা সবার সমান নয়। দরিদ্র মানুষ জটিল ধরনের চিকিৎসার ব্যয় চালাতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যায়। সবচেয়ে বেদনার বিষয় হলো দেশের ওষুধের মূল্য এবং চিকিৎসা ব্যয় প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাছাড়া জটিল ধরনের অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১১, ১৭৬ কোটি টাকা (৪.২০) মাত্র। দেশের সকল মানুষের সুস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য খাতে সাফল্য নিশ্চিত করতে চিকিৎসা ব্যয় কমানো অতীব জরুরী এবং এর জন্য স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধি করা উচিত। ফারহা নূর বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী। হরতাল-অবরোধ আর নয় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সংঘবদ্ধ হয়ে কর্তব্য থেকে বিরত থাকার নাম হরতাল বা ধর্মঘট। হরতাল-অবরোধ কিংবা ধর্মঘট, এগুলোর কোনটাই আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ নয়। পাশ্চাত্যের অন্যান্য ভাল উপকরণের মত হরতাল-অবরোধ একটি কল্যাণমূলক পন্থা হিসেবে পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে স্থান করে নিয়েছে। অলীক হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে দাবি আদায়ের অব্যর্থ অস্ত্রটি নিগৃহীত মানুষের কাছে যতই কল্যাণকর বলে বিবেচিত হোক না কেন, এ অস্ত্রের নির্মম আঘাতে দেশের অর্থনীতি আজ আশঙ্কাজনক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জাতীয় উৎপাদন ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রছাত্রীদের স্বাভাবিক পাঠদান সম্পন্ন করতে পারছে না। এতে করে দেশের ভবিষত মেধা বিনষ্ট হচ্ছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন লাটে উঠছে। পরিবহন ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে প্রায় জনবিচ্ছিন্ন। এক সময় এই হরতাল-অবরোধ নির্যাতিত মানুষের দাবি আদায়ের উদ্দেশ্য হলে বর্তমানে ‘হরতাল-অবরোধ কিংবা ধর্মঘট’ এর উদ্দেশ্য মানব কল্যাণের পরিবর্তে মানব ক্ষতির দিকটার প্রাধান্যই বেশি দেখা যাচ্ছে। দেশে কথায় কথায় হরতাল-অবরোধ-ধর্মঘট ডাকা হয়। তিলকে তাল করে জনজীবনের সচল অবস্থাকে হঠাৎ করেই অচল করে দেয়া হয়। বিরোধীদলগুলো জনকল্যাণে কাজ করার পরিবর্তে ক্ষমতাসীন দলকে ঘায়েল করতেই হরতাল-অবরোধ আহ্বানে মরিয়া হয়ে ওঠে। আর জাতীয় জীবনে এসব প্রতিকূল প্রভাবের কারণেই আজ সচেতন হয়ে উঠেছে গণবিবেক। প্রতিবাদ ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে এসব হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে পালিত হচ্ছে হরতাল-অবরোধ বিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী। এসব কর্মসূচীতে বুদ্ধিজীবী, শিল্পি-কলাকৌশলী, সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সাড়া দিচ্ছে। আর তাদের মুখে উচ্চারিত হচ্ছেÑ দেশকে সর্বস্বান্তকারী, দেশের অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসকারী এবং শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী এমন হরতাল-অবরোধ আর চাই না। মুহাম্মদ আলাউদ্দিন চৌমুহনী সরকারী এস এ কলেজ ঢ়ৎড়ফরঢ়হবংি@মসধরষ.পড়স রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সেবা ঢাকা শহরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক। হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংক বাদ দিয়ে সব ব্যাংকেই সেবার মান আশাতীত নয়। দীর্ঘ লাইন এবং অর্থ লেনদেন এর ধীরগতি নিত্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। তাদের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ নেই এবং অবকাঠামোগত অবস্থা খুবই খারাপ। বেসরকারী ব্যাংক এর সেবার মান বিবেচনায় তাদের সেবা প্রদান ব্যবস্থা অপ্রতুল। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে সঞ্চয়কামী জনগণদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং তাদের যথাযত সেবা প্রদান এর জন্য তাদের উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রয়োজন। এজন্য কর্তৃপক্ষের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। সাজ্জাদ হোসেন ইস্টওয়েস্ট ইউনিভাসিটি ঢাকা।
×