ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেরা খেলোয়াড় হবেন কে?

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ২৮ মার্চ ২০১৫

সেরা খেলোয়াড়  হবেন কে?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর মাত্র একটা দিন পরই নির্ধারিত হবে বিশ্বকাপ শিরোপাধারী দল হতে যাচ্ছে কারা। রবিবার মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে গত দেড় মাসব্যাপী চলা বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর বিশ্বকাপ। সেরা তারকারা আলো ছড়িয়েছেন এবার আসরজুড়ে। ব্যাটে-বলে যাঁরা সেরা হবেন, তা এখনই স্পষ্ট হয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ে অভূতপূর্ব নৈপুণ্য দেখিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। টানা ৪ শতক হাঁকিয়ে ওয়ানডের বিশ্বরেকর্ড গড়া সাঙ্গাকারা ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৫৪১ রান করে এখন পর্যন্ত শীর্ষে। তাঁর চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে এবং মাত্র ৮ রান পিছিয়ে আছেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। আর বোলিংয়ে দুই ফাইনালিস্ট দলের পেসারদ্বয় ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল স্টার্ক। অসি পেসার স্টার্ক ৭ ম্যাচে ২০ ও কিউই গতিতারকা বোল্ট ৮ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে তালিকায় শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে আছেন। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সেরা হবেন কে? আগেভাগেই এবার বিদায় নিয়েছে ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও গত দুই আসরের রানার্সআপ শ্রীলঙ্কা। তবে দলের নির্ভরযোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারা ছিলেন স্বীয় নৈপুণ্যে উজ্জ্বল। ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা নিজ নৈপুণ্যের বিচারে সেরা সাফল্যে কাটিয়েছেন তিনি। দল বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্তই তিনি থাকবেন আলোচনায়। এমনকি হয়ে যেতে পারেন এবারের আসরে সেরা ক্রিকেটারও। দুরন্ত সাঙ্গাকারা গ্রুপপর্বে টানা চারটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে নতুন ইতিহাসের জন্ম দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ১০৮.২০ গড়ে রান করেছেন ৫৪১। এখন পর্যন্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে তিনিই সবার ওপরে। তবে খুব বেশি পিছিয়ে নেই কিউই ওপেনার গাপটিল। বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর অভাবনীয় ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ২৩৭ রান করার কারণেই দারুণ এক জয় পায় নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক বনে যাওয়া গাপটিলের রান ৮ ম্যাচে ৭৬ গড়ে ৫৩২। সেঞ্চুরি দুটি ও হাফ সেঞ্চুরি একটি। দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সও দারুণ এক বিশ্বকাপ শেষ করেছেন। ধারাবাহিকভাবে দুর্দান্ত খেলে তিনি ৮ ম্যাচে ৯৬.৪০ গড়ে করেছেন ৪৮২ রান। বোলিংয়ে এবার বিশ্বকাপে সেরা নৈপুণ্য দেখিয়েছেন পেসাররাই। সে কারণে উইকেট শিকারির তালিকাতেও আছেন গতিধর দুই পেসার। সেমির লড়াই শেষ হওয়া পর্যন্ত এক্ষেত্রে অবশ্য সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের গতিতারকা বোল্ট। তিনি ৮ ম্যাচে মাত্র ১৫.৭৬ গড়ে ২১ উইকেট শিকার করেছেন। বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে এটাই সেরা নৈপুণ্য কোন বোলারের। বোল্টের ইকোনমি ৪.৪১। খুব একটা পিছিয়ে নেই তাঁর চেয়ে স্টার্ক। অসি এ গতিময় বোলার ৭ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করেছেন মাত্র ১০.২০ গড়ে। এরপরই আছেন দুই ভারতীয় পেসার। এবার গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা পেস বোলিংয়ে অভাবিত সাফল্য দেখিয়েছেন। পেসার উমেশ যাদব ৮ ম্যাচে ১৮ ও মোহাম্মদ শামি ৭ ম্যাচে ১৭ উইকেট দখল করেছেন। তবে ভারত সেমি থেকেই বিদায় নেয়ার কারণে ফাইনালে সেরা হওয়ার লড়াইটা শেষ পর্যন্ত বোল্ট ও স্টার্কের মধ্যেই হবে। চলতি আসরে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আহামরি কিছু করতে পারেননি কেউ। এক্ষেত্রে কিছুটা এগিয়ে আছেন শুধু কিউই অলরাউন্ডার কোরি এ্যান্ডারসন। তিনি ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছেন ৩৮.৫০ গড়ে ২৩১ রান। এখন দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কে হন সেরা ক্রিকেটার।
×