ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেলবোর্ন নিয়ে ভয় নেই কিউইদের

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ২৮ মার্চ ২০১৫

মেলবোর্ন নিয়ে ভয় নেই কিউইদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে প্রথমবারের মতো স্বপ্নের বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। শেষ চারে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আরাধ্য সেই শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। রবিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাইন্ডে (এমসিজি) ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। সেই লড়াইয়ের আগে আলোচনায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের বিশাল মাঠ। তবে এসবকে একেবারেই পাত্তা দিচ্ছেন না কিউইরা। এ বিষয়ে শুক্রবার ব্ল্যাক ক্যাপসদের সফল বোলার টিম সাউদি বলেন, ‘মাঠের আকৃতি নিয়ে আমরা মোটেও ভীত নই। বিশ্বের অন্যতম সেরা মাঠ মেলবোর্ন। আর এই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলাটা অসাধারণ এক ব্যাপার। আমাদের কাছে ফাইনাল খেলাটা ঠিক স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়ার মতোই।’ নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে ড্যানিয়েল ভেট্টোরির। ১৯৯৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সাতবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলেছেন তিনি। অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম এবং রস টেইলরের এখানে দুইবার করে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আর এমসিজিতে একবার করে খেলেছেন মার্টিন গাপটিল, গ্র্যান্ট ইলিয়ট, টিম সাউদি এবং কাইল মিলস। ২০০৯ সালে এই মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোরও অভিজ্ঞতা রয়েছে কিউইদের। তাই ফাইনালের আগে সেই স্মৃতিকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন একাদশতম বিশ্বকাপে ইতোমধ্যেই ১৫ উইকেট লাভ করা টিম সাউদি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে অনেক বেশি ম্যাচ খেলিনি ঠিক আছে। কিন্তু ২০০৯ সালে জেতা সেই ম্যাচের অনেক স্মৃতি আমাদের রয়েছে।’ এমসিজি নিয়ে কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ম্যাথু হেইডেনও। তিনি বলেন, ‘মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের লড়াই করতে হবে। কেননা তারা অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে খেলে অভ্যস্ত। প্রকৃতপক্ষে যা মাঠ হিসেবেই যোগ্য নয়।’ এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচেই হারেনি নিউজিল্যান্ড। ৮ ম্যাচের সবটিতেই জয়ের দেখা পেয়েছে কিউইরা। এ নিয়ে চিন্তিত নন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। কেননা সেমিফাইনালে তারাও অপরাজিত ভারতকে হারিয়েই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তাই কিউদের নিয়ে ভাবছেন না ক্লার্ক। এ বিষয়ে তাঁর অভিমত হলোÑ ‘না, নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে আমরা চিন্তায় নেই। তবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে যোগ্য দল হিসেবেই ওরা ফাইনালে উঠেছে। নিউজিল্যান্ড কোন বিভাগে এগিয়ে থাকবে? আমি ম্যাককুলামদের জোরে বোলিং বিভাগের কথা বলব। সত্যিকারের ঝাঁজ আছে বোল্ট-সাউদিদের আক্রমণে।’
×