ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এমসিজির ফাইনালে রেকর্ড দর্শক

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩০ মার্চ ২০১৫

এমসিজির ফাইনালে রেকর্ড দর্শক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে দর্শক সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। অফিসিয়াল সূত্র অনুযায়ী রবিবারের ফাইনাল দেখতে এমসিজিতে উপস্থিত হয়েছিলেন ৯১,১১২ দর্শক। যা আগের যে কোন ক্রিকেট ম্যাচের চেয়েই সর্বোচ্চ। ২০১৩ সালে বক্সিং ডে’র এ্যাশেজ টেস্ট সিরিজের আগে নতুনভাবে সংস্করণ করা বিশাল এই স্টেডিয়ামে এর আগে কোন ম্যাচেই এত দর্শকের সমাগম হয়নি। বিশ্বকাপের ফাইনালেও দর্শক উপস্থিতির দিক থেকে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এই সংখ্যা। এর আগে ১৯৯২ সালের এই মাঠেই অনুষ্ঠিত পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যকার বিশ্বকাপ ফাইনালে ৮৭,১৮২ দর্শক উপস্থিত ছিল। অস্ট্রেলিয়ার এটি সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হলেও সারা বিশ্বে আয়তনের দিক থেকে এর অবস্থান ১৩তম। বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করতে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উপস্থিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীও। প্রথমবারের মতো নিজ দেশের ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা মাঠে বসে উপভোগের সুযোগটি হারাতে চাননি কিউই প্রধানমন্ত্রী জন কি। এ জন্য অবশ্য তিনি সিঙ্গাপুরের জনক লি কুয়ান ইউয়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হতে পারেননি। তার পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডের গবর্নর জেনারেল জেরি মাতেপারায়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন। তবে এই বিষয়ে কি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি বেশ কঠিন ছিল। কারণ আমি দুটি অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে চেয়েছিলাম।’ লি কুয়ানকে নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘদিনের একজন অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে এ সময় কি আরও বলেন, ‘দেশের প্রধান হিসেবে মাতাপারায়ের যোগদান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’ একাদশতম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করার পরই জন কি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে ফাইনালে উপস্থিত থাকবেন তিনি। অবশেষে সেই কথাই রাখলেন জন কি। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এবারের বিশ্বকাপের দুই সহআয়োজক নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়। বিশ্বকাপের ফাইনালে এর আগে এত সঠিক কোন মুহূর্ত আসেনি বলেই কি মন্তব্য করেছেন। দুটি দেশের মধ্যে অনেকদিন ধরেই ক্রীড়াক্ষেত্রে বেশ লড়াই হয়ে আসছে, এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কিউই প্রধানমন্ত্রী ফাইনালে উপস্থিত থাকলেও অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী টনি এ্যাবোট অবশ্য ক্রিকেটকে পাশ কাটিয়ে সিঙ্গাপুরে লি’য়ের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তার সঙ্গে রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রধান ব্যক্তিবর্গও রয়েছেন। কিন্তু জন কি’র দুর্ভাগ্য যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজ দেশের জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি।
×