ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার উৎখাত ও শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল টার্গেট

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৩১ মার্চ ২০১৫

সরকার উৎখাত ও শেখ হাসিনাকে হত্যাই ছিল টার্গেট

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল বর্ধমান খাগড়াগড়ের বোমা বিস্ফোরণ কা-ের হোতা জঙ্গী সংগঠন জেএমবির টার্গেট। চার বাংলাদেশীসহ ২১ জেএমবির জঙ্গীর বিরুদ্ধে বর্ধমান খাগড়াগড়ের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দেয়া চার্জশীটে এই ধরনের তথ্যের উল্লেখ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। বর্ধমান খাগড়াগড়ের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর তদন্ত হাতে নেয়ার পর ১৭৭ দিনের মাথায় ১৬৪ পৃষ্ঠার চার্জশীটটি সোমবার পেশ করা হয়েছে কলকাতার বিশেষ আদালতে। বর্ধমান খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) জড়িত বলে চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী কর্মকা- পরিচালনা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গী অর্থায়ন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য সংরক্ষণ, জালিয়াতির মতো অপরাধে জড়িত থাকার সন্দেহে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়া হয়েছে জঙ্গী সংগঠন জেএমবির বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো রাজ্যজুড়ে, বিশেষ করে মুরশিদাবাদ, নদীয়া, মালদা, বিরভূম, বর্ধমান প্রভৃতি শহরে জঙ্গীগোষ্ঠী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জেএমবির সদস্যরা। শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করেছিল জেএমবি। চার্জশীটে যে ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে অন্তত ৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। ৮ জন এখনও পলাতক। পলাতকরা ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলেও এনআইএ’র দাবি। এনআইএ এর দেয়া চার্জশীটে দাবি, জামা‘আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সহিংসতা ও জঙ্গী কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি কট্টরপন্থী শরিয়া-ভিত্তিক ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য ছিল জেএমবির। ২০১৪ সালে ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে একটি দোতলা বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে শাকিল গাজি ও করিম শেখ নামে দুই জেএমবির সদস্য ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চার্জশীটে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গী কার্যকলাপ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল জেএমবির। এজন্যই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ঝাড়খন্ডে প্রশিক্ষণ শিবির তৈরি করেছিল তারা।
×